Sep 27, 2018

আবার অস্তিত্ব

Edit Posted by with 1 comment


আবার অস্তিত্ব
ইজিদুল

প্রেমে পড়লে মানুষ কিনা করে!
অপরাধবোধ বেড়ে চলে ক্রমশ,
রাত্রি নামে চোখেরই চাহনিতে,
ফিকে হয়ে চলে অস্তিত্ব ক্রমে
রাত্রি নামলে পারদ নামে কি আর?
অগণিত মানুষের আনাগোনা ভীড় করে মননে
সবটা পথ পেরিয়ে এলে আরও কতোটা বাকি থাকে,
জানতে চেয়েছে কেউ?
মিথ্যে হতে থাকা আবদারগুলো গুটিয়ে নেয় নিজেকে,
কোনো খোলসে আটকে থাকে যন্ত্রণা
দু'চোখ বন্ধ হয়ে আসে অদ্ভুত এক ঘুমে,
যে ঘুমের সকাল নেই কোনো
বিষম পাপবোধ ঘিরে ধরে নিজেকে,
অস্তিত্ব সংকটে মনকে শান্ত করে কোলাহল;
অস্ফুটে কানে আসে কণ্ঠস্বর

প্রেমে পড়লে মানুষ কি, না করে?


Sep 23, 2018

নেটফড়িং সংখ্যা ৫৫

Edit Posted by with No comments

Sep 20, 2018

হরিদাস

Edit Posted by with No comments


হরিদাস
গৌর চন্দ্র মজুমদার

হরিদাস মাঠে খাটে জমি করে চাষ,
এই রাজ্যে হরিদাসের তিন পুরুষের বাস।
চেয়ে চিন্তে না খায় পরের দুয়ারেও না যায়
তাই তো হরিদাস রাজার বড়োই খাস।

ঝগড়াঝাটি আর ঝামেলাই নেই হরিদাস
শীত হোক বা বর্ষা ভগবানই ওর ভরসা।
দিন রাত জপে নাম,ভজে গুরুর চরণ
ভগবান করেছেন ওর রাতের ঘুম হরন।

রাজা মনে মনে ভাবেন চিন্তা তো নাই,
হরিদাস থাক না হরি কে নিয়ে,
আমার তো চাই খাজনা, আরো খাজনা,
মন্দ হয় না পেলে হরির জমি জমা।

রাজা জানেন রাজনীতি অতি সহজ কম্ম,
রাজ্য শাসন হবে সহজ যদি টানেন ধম্ম।
রাজার সাথে প্রজারও হবেন ভারী সুখী,
প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন গরীব দুঃখী।

বাড়িয়ে দিয়ে খাজনা জমিজমা নিয়ে
সিংহাসনে বসেন রাজা গা এলিয়ে দিয়ে।
ভিটে হারা হরিদাস রাজার কাছে এলে
হরিকে ভাগিয়ে দিলেন হরির দোহাই দিয়ে।

রাজা নাকি পেয়েছেন হরির স্বপ্নাদেশ
গড়তে হবে মন্দির,পূজিতে হবে তাকে,
হরি যাকে দিনরাত্রি ভজন করে থাকে,
রোজ রাত্রে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখে যাকে।

হরিদাস কে বলেন রাজা সবই হরির কৃপা, তুমি কোথাকার কোন হরিদাস?
এই গ্রামে কোথায় ছিলে?
কোথায় তোমার বাস?


Sep 18, 2018

অস্তিত্ব

Edit Posted by with No comments

অস্তিত্ব
ইজিদুল মিঞা

খুঁজে পেয়েছিলে শেষ চিঠিটা?
দিন ক্রমে ফুরিয়ে আসছে,
তুমি মনে রাখলে দিন বাড়বে।
খুঁজে পেয়েছিলে শেষ দেখা সিনেমার টিকিট?
টুকরো-টুকরো অনুভুতি গুলো সময় মুছে ফেলবে তুমি আঁকড়ে রাখো আমাকে।
একবার শেষ ট্রেনে ফিরে দেখোনা আগের মতন ছন্দ আছে কিনা?
আমি শয্যাশায়ী, টেনে নিচ্ছে অতীত আমাকে।
তুমি একবার এগিয়ে দেখোনা স্পর্শ পাও কিনা,
আমি অশালীন শোক পুষে রাখি সারা শরীরময়।
তোমার ছন্দ চিরকাল ছন্দছাড়া, তবে আজ আমার এই ছন্দপতন ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে অস্তিত্ব।
সময় নেই, তুমি সময় দাওনি বলে।
একবার বলে দেখো ভালোবাসি এখনো,
সব রোগ ভুলে গিয়ে ধরা দেবো, তোমার অস্তিত্বে মিশিয়ে নেবো নিজেকে,শোক চিরকালীন,
ভালোবাসাও কদিনের নয়।

Sep 17, 2018

নেটফড়িং সংখ্যা ৫৪

Edit Posted by with No comments

Sep 16, 2018

ভালো আছি

Edit Posted by with No comments


ভালো আছি
গৌর চন্দ্র মজুমদার

প্রেম তো সেই চলে গেছে কবে ,
স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছে রাত।
ঘুমেরা সজাগ প্ৰহরির বেশে
স্বপ্ন কেনা বারণ আছে তাই।

তোমার শহরে নামে আবেগ মিছিল
আবছা আলোয় আমিও পথ হাঁটি।
প্রেম খুঁজি একা চিলেকোঠার ঘরে
বাউলের বেশে একতারা হাতে ।

ভালো আছি ,
আমি ভালো আছি,
ভালো থাকতে হয়,
তাই হয়তো ভালো আছি।


কাগজের নৌকা

Edit Posted by with No comments


কাগজের নৌকা
প্রসেনজিৎ রায়

বাড়ির সামনের বয়ে যাওয়া নদীতে
উত্তাল ঢেউ-এ পাঠিয়েছি
নৌকা ভর্তি প্রেম,
ব্যস্ততার মধ্যে পাওনি দেখতে
তা কি অদৃশ্য হয়ে গেল ।

ঝিঁড়ি ঝিঁড়ি বৃষ্টিতে
নৌকার খোঁজে এলে,
জীবনের ভালোবাসাকে ভিজিয়ে দিলে
আনমনা হয়ে গেলে,
নৌকাকে একবার দেখার জন্য ।

এখন কি করার আছে,
খরস্রোতা নদীতে পরে
কাগজের নৌকাখানি কখন ডুবে গেছে ।



Sep 15, 2018

ভেজা চোখ

Edit Posted by with 1 comment



ভেজা চোখ
সৌগত রাণা কবিয়াল

অরণী,
ভেঁজা গন্ধটা টের পাচ্ছিস ?
তোর বুকে হাত দিয়ে দেখ,
কান্নারা কি দারুণ
আমাদের ভালোবাসার কথা বলছে !



Sep 10, 2018

মানুষের পাশে

Edit Posted by with No comments


মানুষের পাশে
সঞ্জয় সোম

অকারণে লেখা লিখি
কেউ পড়বে কি না, জানি না
কলমে শব্দ জুড়ি তোমার অনুভবে, তোমার জন্য
এসব লেখা অকারণে
মুখের কথা তুলে আনি কলমে
যেখানে অন্য কারও কথা বলি না
মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কবিতা লিখি।



নেট ফড়িং সংখ্যা ৫৩

Edit Posted by with No comments

Sep 8, 2018

ভালোবাসি

Edit Posted by with No comments

ভালোবাসি
অন্তরা দাম

আমি নাকি তার কাছে কিছু চাইনা,
কেন কোন আবদার নেই তার কাছে আমার এই নিয়ে সে গোসা করে
সে বলে সবাই তার প্রিয় জনের কাছে কতকিছু দাবি রাখে তবে তুমি কেন
আমি আমার বন্ধুকে দেখেছি কতো সাধ করে তার প্রিয়ার জন্যে টিপ কেনে, কেনে লিপস্টিক বা  রং-বেরঙের চুড়ি
আর আমি,
তোমায় কিছু দিতে গেলেই করো শুধুই আড়ি
তার গালটা টিপে হেসে বলি বড্ড অবুঝ প্রেমিক আমার
আমার যা চাই সবই তো দিয়েছ তুমি
মুখ ফিরিয়ে সে বলে কোথায়
আলতো করে ওর বুকে মাথা বলি এই যে একটুকরো আকাশ দিয়েছো, না বলতেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়েছো, হাত ধরে পাড় করিয়েছো রাস্তা,
কতো কী দিয়েছো,
ধুর এসব আবার কিছু নাকি
কিছু নয় অনেক কিছু, সবচেয়ে বড়ো কি দিয়েছো জানো
তোমার ওই বুকে মাথা রাখার সুযোগটা
আর বলো এরচেয়েও বেশি কি কিছু চাওয়ার থাকতে পারে আমার
হঠাৎ করে জড়িয়ে সে বলে এইজন্য তো তোমায় এতো ভালোবাসি
তখন আমি আলতো করে তার কানে কানে বলি
আমিও।


Sep 7, 2018

বসন্ত

Edit Posted by with No comments



বসন্ত
বিক্রম শীল

প্রথম বসন্তে হঠাৎ দেখা
দ্বিতীয় বসন্তে চাওয়া;
তৃতীয় বসন্তে ভালোবাসা লেখা।
শুভ পরিণয়ে এক হওয়া
প্রতি বসন্তে বাঁচতে শেখা
সুখ-সাগরে ভেসে যাওয়া-
শেষ বসন্তে হাত মিলিয়ে
অমৃতলোকে যাওয়া।



Sep 6, 2018

কষ্ট বিক্রি

Edit Posted by with No comments

কষ্ট বিক্রি
মিষ্টু ঘোষ

জ্যামে আটকে বাবা এসি গাড়ির কাঁচ টা নামাতেই পুতুল দেখল তারই বয়সী একজন ছেলে রাস্তায় বেলুন বিক্রি করছে পুতুল কৌতুহল নিয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করল 'বাবা ছেলেটা কি করছে?'
বাবা ছেলেটিকে ডেকে দুটো বেলুন কিনে পুতুলের হাতে দিয়ে বলল,
'কষ্ট বিক্রি করছে মা দুমুঠো খাবারের জন্য লড়াই করছে,তোমার মতো সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায় নি কিনা'
পুতুল বাবার উত্তর বুঝতে না পেরে বেলুন দুটো নিয়ে খেলতে শুরু করল,
 'উফফ্ কি গরম ! এবার গাড়ির কাঁচটা নামাও বাবা'


Sep 5, 2018

প্রাক্তন

Edit Posted by with No comments

প্রাক্তন
নূর আরিফ(রাজ)

আমার প্রথম সাক্ষাৎ!
প্রথম, চেনায় তোমাকে,

ধাঁ করে আসা কোন অলীক  বাতাস
তোমায় চেনায় রোজ,
তোমার অন্তরঙ্গ শব্দ গুলো
তোমায় ভাবায় অবিরত,
সেদিনের সেই পারফিউমের গন্ধ
আজও তোমায় , আমার অন্তিক করে ।

আমার তখন যৌবন কাল
লোকে বলে, তাই নাকি প্রেম পায় !

অতর্কিত, কিছু উটকো স্বপ্ন
কিছুটা ঘন বিবর্ণ বাস্তব,
কালের নিয়মে শেষ হয় সব,
মন খারাপি অঙ্কনীয় টানে!

এরপর, আর হয়নি দেখা
বাসে কিংবা ডাকবাক্সে

বছর খানিক পার হলো,
চিঠি আসে হঠাৎ করে
শিরোনাম টা, বেনামি !

তারপর ব্যস্ত আমি
খুলি নি আর পত্রখানি।
হয়নি দেওয়া উত্তর, তখন !

বিষয়বস্তু জানিনা চিঠির
নাম টাও দেখেছিলাম বেনামি,
হাতের লেখা টা বড্ড চেনা
তবে সে'ই কি আমার প্রাক্তন'ই ।।



Sep 4, 2018

ব্যর্থ কবির স্ত্রী

Edit Posted by with No comments

ব্যর্থ কবির স্ত্রী
মিষ্টু ঘোষ

শব্দ বিক্রির ধান্দা ছেড়ে,
এবারের মতো একখানা অন্য পেশা বেছে নাও।।
মাঝি হয়ে পারাপার কর,দু একটা দুঃখের গান গাইতে গাইতে,
কিংবা ধূসর মৃতদেহ গুলোকে স্বর্গরথে করে শ্মশান অবধি পৌঁছে দাও
তবু তুমি শব্দ বিক্রির ধান্দা ছেড়ে দাও।।
তোমার কলমের দু ফোটা কালিতে সংসারে আঁচড় কেটেছ শুধু,
হিংসে হয় তোমার বইগুলো কে ,ভীষণ হিংসে ঠিক যেমন সতীন থাকলে হতো,
সেবার মঞ্চে তোমার কবিতা পাঠের পর,অজস্র হাততালি তে মন ভরেছে,শুধু পেট ভরে নি ।।
দায়িত্ব এড়িয়ে গেলেও ভালো কবি হওয়া যায়,
বেকারত্বের দায়ে বন্ধ্যাত্বের তকমা যেদিন ঘুচে যাবে,
জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল খানা হাত থেকে ফেলে দিয়ে যেদিন বাবা ডাক শোনার ইচ্ছে টুকু জাগবে ,
সেদিন আবারও তোমার হাতে তেত্রিশ খানা চুম্বন এঁকে, লেখার চারায় দেব জৈবসার ।।