অসুখ
পহেলী পাল
একদিন কোনো সুখপাখি ডাক দিলে
চলে যাব, ফিরে ফিরে আসব না,
একদিন এই অসুখ যাবে সেরে
একদিন তোমায় আর ভালোবাসবো না।
আজ এ জীবন জাপটে রাখে খুব ?
গলার কাছে কাঁটার মত বাজে ?
অভিমানে ঘরছাড়া যেই পাখি
সব ভুলে রোজ খাঁচায় ফেরে সাঁঝে-
একদিন সেও নিয়মভাঙার খেলায়
মাতবে যখন ভুলে শেকল টান
বুঝবে তোমার অবহেলার গল্প
পেরিয়ে গেছে তিন সীমানার গান।
এখন যেমন আদর যত্নে মেখে
সম্পর্কের মমিটাকে রাখি
কোনো একদিন দ্বিধাহীন হাতে
ছুঁইয়ে আগুন মুক্তিও দিতে পারি।
এখন যেমন দিনের আলো গেলেই
চোখ থাকে সেই চেনা পথের বাঁকে,
এখন যেমন প্রহর গুণে মন
তোমার ডাকের আশায় বসে থাকে-
জানবেইনা কোন তমশার কালো
একদিন তারও বদলে দেবে ছক
কোন উজানে গা ভাসাবে সেও
মুক্তিবেগে পেরিয়ে যাবে পথ।
সাঁঝের বাতি ফুরিয়ে এলে পরও
যেদিন তোমার অপেক্ষাতে থাকব না,
বুঝবে সেদিন অসুখ গেছে সেরে
সেদিন আর তোমার জন্যে ভাববো না।
কোনো একদিন দিনটা আসবে ঠিক
কথায় মায়ায় পড়ব না বাঁধা
মুক্ত তোমার আকাশপাড়ির স্বপ্ন
আমি তখন শুধু একটা ধাঁধা।
আজ তো আমার অসুখ মনের মাথার
তাই তো দেখো কত্তো কথা বলি
হিজিবিজি এঁকে ভরাই খাতা
তোমার নামে লিখি সুরের কলি।
আজ আমার চাঁদ-পাহাড়ের দেশে
অমাবস্যা, একশো তিন জ্বর
মনের ভিটের কাঁপছে মাটি তাই
প্রেমের ঘরে বিষ-বোশেখী ঝড়।
সত্যি বলছি বুঝতে পারিনি গো
হয়তো আমি পাগল একটু বেশি,
তোমায় বোঝার অভিযানের মাঝে
কখন নিজেই বোঝা হয়ে গেছি।
তবে একদিন পেরিয়ে যাব সবটা
এড়িয়ে যাব, ফেলব না চোখ চোখে,
অপরিচিতের ভিড়ে ঠাসা গলি
যেমন এগোয় দেখেও না দেখে।
যেদিন বারেক ভাঙলে সবই ঝড়ে
রাত করে ভোর আবার সে ঘর বাঁধবো না,
বুঝবে সেদিন অসুখ গেছে সেরে
সেদিন আর তোমার কথায় কাঁদবো না।
লেখিকা- পহেলী পাল