Mar 31, 2019

নেট ফড়িং সংখ্যা ৮২

Edit Posted by with No comments

Mar 26, 2019

মনোহারিণী

Edit Posted by with No comments


মনোহারিণী
নিরাঞ্জন অজয় মণ্ডল

কইয়া ছিলা সারাজীবন বাসবা আমায় ভালা
আইজকা তবে একলা ফেইলা কোথায় গেলা চইলা
আমি নাকি সুখের স্বর্গ, স্বপ্নের  রাজকুমার
তবে কোথায় গেলা ফাঁকি দিয়া,জীবন কইরা হাহাকার
মনের উজান ভাটি সব শুকাইলো , শুকাইলো দুই কুল
কিসের লাইগা দিলা সাজা , কিই বা ছিল ভুল
চান্দের আলোও সব ঢাইকা যায়,মনের দুঃখের কাছে
তুমি ছাড়া কেমনে বাচি, কেইবা আমার আছে
ভব ঘুরে জীবন আমার ,কিছুই  আমার নাই
তাইবুজি তুমি গেলা চইলা, দিলা ভালোবাসায় ছাই।।



Mar 24, 2019

নেটফড়িং সংখ্যা ৮১

Edit Posted by with No comments

Mar 17, 2019

নেট ফড়িং সংখ্যা ৮০

Edit Posted by with No comments

Mar 13, 2019

বিবর্ণতা

Edit Posted by with No comments

বিবর্ণতা
সৌরদীপ বর্দ্ধন

আমি আকাশ জুঁড়ে একটা ক্যানভাস দেখি,
তাতে দুটি দল
একদল ভীষন উজ্জ্বল, দপদপ করে জ্জলছে।
আর  দূরে কয়েকটা নিভছে প্রায়,
তার মধ্যে কতকগুলি হেরে বিদায় আর কিছু ফিরে যায় সভ্যতায়।
আমি কল্পনা করি আমি আছি একা জ্জলে,নিভছি প্রায় তবে নিঃশেষ হয়নি এখনও।
ঠিক করেছি সভ্যতায় ফিরব না আর,
ভীষণ অব্যক্ত ক্ষত নিয়ে নিভছি প্রায়।
তবু বারুদের কবরস্থলে যাবার ঠিক আগের মূর্হুতেও ধরে থাকব আমার জয়ধধজা।


Mar 10, 2019

নেট ফড়িং সংখ্যা ৭৯

Edit Posted by with No comments

Mar 8, 2019

বেরঙিন ইচ্ছেডানা

Edit Posted by with 2 comments


বেরঙিন ইচ্ছেডানা
বিক্রম শীল

ফেসবুক অচেনা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গুলো ডিলিট করছিল প্রিয়াসা হঠাৎ ওর নজরে এলো শিবার অ্যাকাউন্টটার দিকে, কি ব্যাপার ওকে তো ব্লক করে রেখেছিল তবে বোধ হয় নতুন খুলেছে আবার আজ অনেক দিন পরে পুরনো সম্পর্কটার কথা মনে পড়ে গেলো তখন ক্লাস ইলেভেনে পড়ে, শশী স্যারের ভূগোল ব্যাচে ওরা এক সাথে পড়তো তারপরের ঘটনা তো সহজেই অনুমেয় শিবার দেওয়া কাঁচের ফুলদানি-টা বহুদিন যত্ন করে রেখেছিল হস্টেল থেকে ফিরে ওটা আর পায়নি, হয়তো বিনু মাসি ভাঙ্গাচোরার কাছে বেঁচে দিয়েছিল আর খোঁজও করেনি কি হবে, ওর জীবনটাও তখন ভাঙ্গাচোরার মতই হয়ে গেছিলো অল্প বয়সের প্রেম হলে যা হয় আবেগের ভীরে বাস্তবতার জায়গা হয় না
কিছুটা ইচ্ছে করেই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট টা এড়িয়ে গেল সে, জানে দেখলেই মুড টা অফ হয়ে যাবে আরো বেশি করে মেসেনজারটা অন করে আরও বিস্মিত হল নিউ মেসেজ রিকুয়েস্ট জমে আছে শিবার থেকে, অজান্তে হাত টা লেগে যাওয়ায় দেখতে পেল মেসেজ টাপ্রিয়াসা প্লিজ ফিরে এসো আমার জীবনে, আমি খুব একা হয়ে গেছি, লাভ ইউ...” আর পড়তে পারলো না দুচোখ সরিয়ে নিলো সত্যি প্রথম  ভালোবাসা বোধ হয় ভুলতে পারে না কেউ- চোখ মুছে মৃদু হাসির রেখা ফুটে উঠলো প্রিয়াসার ঠোঁটে এই দিনটার অপেক্ষায় ছিল সে একদিন, আজ তার ভালোবাসার- জয় হল আচ্ছা সত্যি কি চেয়েছিল এই দিনটা, হতেই তো পারতো এই দিনটায় তারা নৈনিতালের কোন হোটেলের ছাদে মধুচন্দ্রিমার পূর্ণিমা রাতে কাঁধে-কাঁধ রেখে থাকতে
জীবনে সব চাওয়া পূরণ হয় না কারোই ওরও হয়নি একই ব্যাচে পড়ার সুবাদে ওদের বন্ধুত্বের সুত্রপাত হয়েছিল প্রিয়াসা কখনোই রিলেশনশিপে আসতে চায়নি, শিবার মিথ্যে ভালোবাসার কাছে হার মেনেছিল সে হ্যাঁ, মিথ্যে ভালোবাসা তখন একফোঁটা বুঝতে পারেনি বন্ধুদের কাছে কানাঘুষো শুনেছিল বটে শিবার সম্পর্কে তবে আমল দিতে চায়নি সে তখন নিজেকে শিবার একমাত্র গার্লফ্রেন্ড মনে করত তবে শিবার যে একাধিক গার্ল ফ্রেন্ড ছিল সে কথা জানতে পারে আরও পরে পাশের পাড়ার দেবযানী- সাথে অনেক দিন পরে দেখা হয়েছিল তখন কথায় কথায় শিবার কথা উঠতেই খিস্তির বন্যা বইয়ে দিলোকোন ভাবেই ওর পাল্লায় পড়িস না কিন্তু পাল্লায় পড়ার আর কোন বাকি ছিল নাকি?
তবে একান্তে শিবার অধিক ঘনিষ্ঠতা ভালো লাগতো না প্রিয়াসার, পরিবর্তে অতি ভদ্র মেয়ে এমন অনেক প্রবচন শুনতে হত প্রিয়াসা-কে একদিন বন্ধুদের সাথে যখন শিবা গল্পে মশগুল ছিল মা কাছে ফোন করবে বলে শিবার ফোনটা হাতে নিয়েছিল সে, হঠাৎ আসা একটা মেসেজ দেখে সব দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে গেছিল ওর মতো অনেকের সাথেই সম্পর্ক ছিল শিবার প্রিয়াসা শুধু অস্ফুটে বলেছিলকেন এমন করলে তুমি আমার সাথে?” তারপর সেই নিয়ে একরাশ কথা কাটাকাটি কান্না, কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিয়েছিল শিবারতুমি এখন আমার হাতের ময়লা, ভালোবাসি না তোমাকেকথাটা তারপর আর শিবার দিকে ফিরে দেখেনি কখনো একটা ঝড়ে যেন জীবনের সব কিছু তছনছ হয়ে গেছিল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো প্রিয়াসা, যে পবিত্র মনে ভালোবেসেছিল কি হল এতো ভালোবেসে?
সেবার ওর মাসির মেয়ে লগ্ন এসেছিল ওদের বাড়িতে, ওকে সব বলেছিল গড়গড় করে, মনটা যেন একটু হালকা হয়েছিল লগ্ন অনেক কিছু বকবক করে বললো ধুর ভুলে যা তো ওকে তুই পারবি ভুলে যেতে তোর ভালোবাসা কে লগ্ন চুপ করে গেছিলো কীভাবে ভুলে যেত শিবা-কে এতো সহজে, ওর মন আত্মা সব কিছু জুড়ে ছিল শিবা একদিন লুকিয়ে ঠাম্মার ঘুমের ওষুধ খাওয়া, হসপিটাল, ডাক্তার, পাড়া-প্রতিবেশীর বিদ্রুপ, ঘিনঘিন করে ভাবলেই বাবা একটা কষিয়ে থাপ্পর দিয়েছিল গালেজীবনটা এতো সহজ না, বুঝলে! খুব বাড় বেড়েছ তুমি দিদিভাই একজন কাউন্সিলরের কাছে নিয়ে গেছিল একদিন তারপর ফিরে এসেছিল স্বাভাবিক জীবনে তারপর উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে হস্টেলে নিজের শহর ছেড়ে দূরে
কিরে সেমিনার রুমে যাবি না, ২টো বেজে গেছে রিয়ার ডাকে সম্বিৎ ফিরলো প্রিয়াসার এবারে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্সের লাস্ট ইয়ার সামনেই অনেকগুলো ভালো ভালো কোম্পানির ক্যাম্পাসিং সেই চিন্তাই এখন ঘুরছে সবার মাথায় হস্টেল থেকে বেরলো প্রিয়াসা কলেজে ঢুকতেই প্রিয়তোষের মুখোমুখি হতে হল, একটু হাসি বিনিময় অতটুকুই আসলে একই ব্যাচের স্টুডেন্ট হলেও ওদের মধ্যে কথা একটু কমই হত প্রিয়াসা ওদের কমন ফ্রেন্ডদের কাছে শুনেছিল প্রিয়তোষ ওকে ভীষণ ভালোবাসে কই মুখ ফুটে তো কখনো বলেনি ওকে কিছু! ভালোবাসার জন্যই হোক বা ওর সরলতার জন্য ছেলেটির প্রতি ওর একটা অদ্ভুত দুর্বলতা ছিল
ফেয়ারওয়েল প্রোগ্রামে বান্ধবীদের সাথে কলেজে এলো প্রিয়াসা যথারীতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ডিজের সাথে উদ্দাম নাচানাচি শুরু হল, অন্য দিকে কলেজের বিশেষ ঘরে চলছে বিশেষ পার্টি সে ঘরেও সবার অবাধ আনাগোনা চলছে কলেজের প্রথম দিনগুলোর কথা ভীষণ মনে পড়ছিল প্রিয়াসার ভর্তি হতে আসার সময় ঠাম্মা বলছিল এতো পড়াশুনো করে কি তুমি হোটেল কাজ করবে দিদিভাই! নতুন পরিবেশ, নতুন বন্ধু খাপ খাইয়ে নিয়েছিল নিজেকে অন্তত শিবার সাথে ফেলে আসা দিনগুলোর হ্যং-ওভার অনেকটা কাটিয়ে উঠেছিল সে আর ভালো লাগছিল না এই নাচ-গান কলেজ শেষ ভাবলেই বুকের ভেতরে কেমন একটা করছে বেরিয়ে এলো সে কলেজ থেকে হঠাৎ প্রিয়তোষ ওর সামনে এসে দাঁড়ালোতোমাকে একটা কথা বলার ছিল একটু সময় দেবে প্লিজ?’ ‘হ্যাঁ বল’, একটু বিরক্তির সুরেই বললো প্রিয়াসাজানি খুব রেগে যাবে হয়তো কথাটা শুনলে, কলেজের প্রথম দিনেই বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু বলতে পারিনি, আর কিছুদিন পরেই কলেজ শেষ, জানি আজ না বললে হয়তো জীবনে আর কখনো বলার সুযোগ হবে না‘ ‘এতো ভনিতা না করে কথাটা কি সেটা বল আগেআমি তোমাকে ভালোবাসি প্রিয়াসা, না না ভেবনা এর কোন রিপ্লাই চাইবো তোমার কাছে! এটা তোমাকে বলতে পেরেই অনেক শান্তি পেলাম, অনেকটা সময় হয়তো নষ্ট করে ফেললাম তোমার, আসিজীবনে অনেক প্রোপোজ পেয়েছে, তবু কেন জানি মনে হল এটা একটু অন্য রকম ছিল বাকি গুলোর থেকে
হস্টেলের রুমে এসে আনমনা হয়ে বসেছিল প্রিয়াসা, আসলে ভালোবাসা অনুভূতি কোথায় যেন হারিয়ে গেছে ওরকিরে কি হয়েছে তোর এতো চুপচাপ হয়ে বসে আছিস যেরিয়া অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলোটুডে প্রিয়তোষ প্রোপোজড মি’ ‘ওয়াও আমেজিং ফাইনালি বেচারা বলতে পারলো বল এই তুই কি বললি রে?’ ‘আমি কিছু বলার আগেই চলে গিয়েছে‘ ‘হেহে যাহ্বাবা কেমন প্রেমিক রে আর তুমিও স্বপ্ন সাজাচ্ছ মনে মনে তাই না?’ ‘যা তো ভাট বকিস না খেয়েদেয়ে কাজ নেই স্বপ্ন দেখব, যত সব আদিখ্যেতা এসব ভালোবাসা টাসা আর হবে না আমার দ্বারা থিওরি অফ ম্যানেজমেন্ট বইটা অর্ডার করলি রে? আইওসি ক্যাম্পাসিং টা সোমবার হচ্ছে তো নাকি?’ ‘হ্যাঁ রে ভাই পড়াশোনা শুরু করে দে
ক্যাম্পাসিং ভালো একটা কোম্পানি-তে চাকরিটা হয়ে গেছিল প্রিয়াসার সেই আনন্দে মশগুল ছিল বন্ধুদের নিয়ে এবার ভালো করে আগামী দিনগুলো কাটাবে স্বাধীনভাবে হঠাৎ করে মা ফোন এল বাড়ি থেকে, ‘তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে আয়, তোর বাবার শরীরটা ভালো নাপরেরদিন লাইব্রেরীতে বই জমা দিতে গিয়ে দেখা প্রিয়তোষের সাথে বইগুলো জমা দিয়ে প্রিয়তোষের মুখোমুখি হয়ে বললোকি ব্যাপার তোর? চাকরি পেয়ে ভুলে গেলি নাকি?’ ‘তুমিও তো পেয়েছ‘ ‘এই তুমি  টুমি ছেড়ে তুই ফিরে আয় তো সেদিন পালিয়ে গেলি যে?’ প্রিয়তোষ কিছুটা চমকে গিয়ে উত্তর দিলআসলে আমি চাইনি তুমি ওই কথাগুলো ভেবে বিব্রত হও তোমার সামনে এতো সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে
সেদিন কলেজ লাইব্রেরীতে অনেকক্ষণ কথা হয়েছিল প্রিয়তোষের সাথে আগামী দিন গুলোতে কি করবে না করবে ওদের চাকরীটা একই কোম্পানি-তে হয়ে গেছিল ভাগ্যবশত প্রিয়তোষ ওকে ভালোবাসে বিষয়ে নিশ্চিত প্রিয়াসা তবে আর একটু সময় চাই নিজের কাছে, পুরনো সব কিছু ভুলে যাওয়া অতটা সোজা নয়, আঘাত টা যেহেতু ভালোবাসা থেকেই এসেছে ট্রেনে যেতে যেতে এসব আকাশ কুসুম ভাবছিল সে সব কিছু ঠিকই ছিল যতক্ষণ না বাড়ি গিয়ে প্রিয়াসার বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার কথাটা নিজের কানে শুনছে বাবা তো দিব্যি আছে, বাড়িতে জানে বিয়ের কথা বললে কখনোই আসবে না, তাই বাবার অসুস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে মেয়ে মানেই কি বিয়ে দিয়ে দিতে হবে? কোন কেরিয়ার থাকতে পারে না
সেদিন রাতে কিছুতেই ঘুম আসছিল না প্রিয়াসার বাবা জানিয়ে দিয়েছে বিয়ে না করলে তার মরা মুখ দেখতে হবে কত বোঝানোর চেষ্টা করলো, কিছুতেই কিছু হল না মা-কে বলবে প্রিয়তোষের কথা? কি বলবে ভালোবাসে ওকে একবার ভালবাসার কথা বলে সাধ মেটেনি তাই না, তবে সেটা তো অনেক আগের কথা তখন অল্প বয়স কে বুঝবে? ওর কষ্টগুলো, চাওয়া-না চাওয়া গুলো প্রিয়তোষ আসার দিন থেকেই ফোন করে যাচ্ছে বারবার করে ধরেনি, কি উত্তর দেবে ওকে?
এসব আকাশ কুসুম ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পরেছিল খেয়াল নেই পরদিন সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গলো মা  ডাকেকিরে ওঠ ওঠ কত বেলা হয়ে গেছে, ছেলের বাড়ি থেকে আশীর্বাদ করতে আসবে তোকে, অ্যাই মেয়ে!”
সবার কত আনন্দ তাই না? বাড়ির একমাত্র মেয়ের বিয়ে হচ্ছে এত ভালো পরিবার, ছেলে ভালো চাকরি করে বিয়েতে কোন শাড়ীটা পড়বে, কি রঙের বেনারসি পড়বে এসব নিয়ে হৈ-চৈ মেতে রয়েছে সবাই আচ্ছা একবারও কি কেউ এটা জিজ্ঞেস করেছে আমি কি চাই, আমার ইচ্ছে কি কি? প্রিয়াসা এসবই ভাবছিল বেল কনি তে বসে মুখে ছিল হাসি হ্যাঁ বিদ্রুপের হাসি ছেলের বাড়ির থেকে বলে দিয়েছে বিয়ের পরে মেয়ের বাইরে কাজ করার কোন দরকার নেই, সংসার সামলাতে হবে কিনা একটা মেয়ের স্বপ্ন ভাঙ্গার কর্মযজ্ঞ বোধহয় এই বিয়ে, হে হে কি হল এত ভালো হয়ে, এত স্বপ্ন দেখে, ভালো পড়াশোনা করে কোন দাম নেই কারো কাছে, শুধু কি মেয়ে বলে?
আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে...” সম্বিৎ ফিরল ফোনটা বেজে উঠতেই, হাতে নিয়ে দেখল অচেনা নম্বর ধরতেই ওপাশ থেকে প্রিয়তোষের গলা- “কিরে কি হয়েছে তোর? ফোন ধরছিস না, কথা বলছিস না কি হয়েছে তোর বলবি তো আমাকে, আমার চিন্তা হয় না!” “আমার জন্যে তোকে আর চিন্তা করতে হবে না” “এভাবে কেন বলছিস” “দেখ অত শত জানি না তোর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই, ভবিষ্যৎ আর কখনো ফোন করার চেষ্টা করবি নাবলেই ফোনটা কেটে দিল ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল এসব বলতে এও জানে এসব শুনে ওর থেকেও বেশি কষ্ট প্রিয়তোষের হয়েছে অপ্রিয় সত্যিটা তো মেনে নিতেই হবে মানুষ যেমনি করে জীবনটা-কে বাঁচতে চায় তেমন করে বাঁচতে পারে না, কারন পরিস্থিতির চাপ
বিয়ের দিন সকালে প্রিয়তোষের একটা মেসেজ এল ফোন ভালো থেকো, নতুন জীবন ভালো কাটুক হয়তো রিয়ার কাছে পেয়েছে খবরটা জীবনে ওদের হয়তো আর কখনো দেখা হবে না প্রিয়াসার মা-বাবা ভীষণ খুশি সারা বাড়ি আলোক মালায় সেজে উঠেছে রজনীগন্ধার গন্ধে চারদিক মম করছে অনেক স্বপ্ন চোখে নিয়েই হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়তে গেছিল, চোখের সামনে স্বপ্নগুলোর মৃত্যু মেনে নিতে হচ্ছে ভালোবাসা, অনুভূতি এসব তো কবেই হারিয়ে গেছিল, এবার বাঁচার ইচ্ছেটাও নিভে গেল সানাই এর করুণ সুর, উলু-ধ্বনি, সবার হৈ হুল্লোড় এর মাঝে কোথায় যেন একরত্তি মেয়েটার স্বপ্নের সলিল সমাধি হয়ে গেল বিয়ের ছাদনাতলায়