Jul 26, 2020

নেট ফড়িং সংখ্যা- ১৫১

Edit Posted by with 1 comment

Jul 24, 2020

"সুশান্ত সিং রাজপুত" (ইমানুয়েল হক)

Edit Posted by with No comments


সুশান্ত সিং রাজপুত
ইমানুয়েল হক

শুধু নাম তোমার রাজপুত নয়
কর্মে ও আচরণে রাজপুত্র তুমি।
অভিনয়, নৃত্য, কিংবা বিজ্ঞান
লক্ষ-কোটির অনুপ্রেরণা -
নক্ষত্রপুঞ্জের মাঝে উজ্জ্বল কান্ডারী।
শিখিয়ে গেলে মনে-প্রাণে বাঁচার মানে !

প্রতিটা হাসির পেছনে লুকিয়ে
এক একটা অশ্রুসমুদ্র !
আপনজনদের শূন্যতা ,
প্রিয়তমার দূরত্বের ব্যবধান-
কর্মজীবনের অসহায়তা !!
মৃদু-অগ্নিতে জ্জ্বলন্ত হৃদয়,
বিরহে বিশ্বকে জানালে বিদায় !!

তবে মরতে দেব না তোমায়,
সিনেমায়-অভিনয়ে-কথায়
আর হৃদয়ছোঁয়া নির্মল হাসিতে
কোটি কোটি অনুরাগীর মনে
চিরকাল তুমি অমর হয়ে রবে !
যেখানেই আছো শান্তিতে থেকো
সর্বকালের সেরা, প্রিয় সুশান্ত !!

ফড়িং সাক্ষাৎ

Edit Posted by with 1 comment

অতিথি- “শ্রেয়সী ধর (চিত্রশিল্পী)
সাক্ষাৎকার ও অণুলিখন- দীপজ্যোতি গাঙ্গুলী

নেটফড়িং অনলাইন ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোচবিহার তথা বাংলার বেশ কিছু মানুষ যারা নিজ নিজ কাজে অত্যন্ত পারদর্শী ও পরিচিত মুখ, তাদের মুখে তাদের জার্নি শুনে সেটা নেটফড়িং এর পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। গত সংখ্যার পর এই সংখ্যায় থাকছে আরও এক বিশেষ মানুষের সাক্ষাৎকার। আজ আমাদের সাথে আছে আলিপুরদুয়ারের শ্রেয়সী ধর। যার নাম এখন শুধু আলিপুরদুয়ার বা বাংলায় আটকে নেই, পৌঁছে গিয়েছে "ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড" এ।


দীপজ্যোতি - নমস্কার শ্রেয়সী, শুরুতেই তোমাকে স্বাগত জানাই নেটফড়িং আয়োজিত ফড়িং সাক্ষাতে।
শ্রেয়সী - অনেক ধন্যবাদ।
দীপজ্যোতি- এখন তো লকডাউন চলছে মানে অনেকেই বলছিল একটা লম্বা ছুটি। কিভাবে কাটাচ্ছো এই লম্বা ছুটি?
শ্রেয়সী - এই অবসরে আমি আঁকাআঁকি, বিভিন্ন কবিতা-গল্পের বই পড়ছি, আবৃত্তি চর্চা এসবের মাঝেই নিজেকে ব্যস্ত রাখছি আর অবশ্যই পরিবারের সকলের সাথে বেশ ভালো সময় কাটছে।
দীপজ্যোতি- ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠলো তোমার। কেমন অনুভব করেছিলে?
শ্রেয়সী - আমি একদমই আশাবাদী ছিলাম না এ বিষয়ে যে আমার শিল্পকর্ম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে স্বীকৃতি পাবে, আমার শিল্পকর্মকে সন্মান জানানো হবে। যেদিন জানতে পারলাম (আমাকে মেইল করে জানানো হয়) ভীষণ ভালো লেগেছিল।
দীপজ্যোতি- এই যে এত বড় সাকসেস এটা কি কখনো তোমার মধ্যে কখনো কোনো নেগেটিভ প্রেসার তৈরি করে?
শ্রেয়সী - একদমই না।
দীপজ্যোতি- চিনির দানায় ভারতের পতাকা এই চিন্তা কিভাবে আসলো মাথায়। যদি গল্পটা শেয়ার করতে...
শ্রেয়সী - আমি জল রঙ, পেন্সিল স্কেচ আরও বিভিন্ন রকম আঁকাআঁকি নিয়ে চর্চা করছি কিন্তু এই ক্ষুদ্র দানার মধ্যে এটাই আমার করা প্রথম কাজ। এই আঁকার অনুপ্রেরণা পাওয়া কলকাতা নিবাসী বন্ধুদের কাছ থেকে। তারা এসব আঁকা নিয়ে অনেক দিন যাবত চর্চা করছে তারা ফেসবুকে পোস্ট আমি দেখতাম ভীষণ ভালো লাগতো। তারপর ভাবলাম যে আমিও এবার নতুনত্ব কিছু করার চেষ্টা করি।
দীপজ্যোতি - কি ধরণের আর্ট করতে ভালো লাগে?
শ্রেয়সী - ওয়েল পেইন্টিং।
দীপজ্যোতি - তুমি তো ইতিহাসের ছাত্রী। তা ভবিষ্যতে কি নিয়ে এগোনোর ইচ্ছে আছে?
শ্রেয়সী - পড়াশোনার চাইতে আমার আঁকার প্রতি ঝোঁক বেশি তাই আগামী দিনে শিল্পকর্ম নিয়েই এগিয়ে যাবার পরিকল্পনা রয়েছে।
দীপজ্যোতি - প্রিয় চিত্রশিল্পী কে?
শ্রেয়সী - পাবলো পিকাসো।
দীপজ্যোতি - জীবনে এমন কোনো ইচ্ছে, যা কখনো পূরণ হবার মতো নয়?
শ্রেয়সী - না, এমন কোনো ইচ্ছে নেই যা পূরণ হবার নয় নয়। সব ইচ্ছে কে বাস্তবায়িত করার জেদ নিয়েই এগিয়ে চলছি।
দীপজ্যোতি - ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম ওঠার পর, পাড়া-প্রতিবেশী আর আত্মীয়স্বজনরা কি বললো?
শ্রেয়সী - সবাই বেশ খুশী
দীপজ্যোতি - তুমি তো চিত্রশিল্পী। ভবিষ্যতে কোনোদিন নেটফড়িং এর প্রচ্ছদ আঁকার সুযোগ আসলে আঁকবে?
শ্রেয়সী - অবশ্যই, আঁকবো।
শেষ কয়েকটা প্রশ্ন যেকোনো একটা অপশন বেছে নিতে হবে, বলতে পারো একটা র্যাপিড ফায়ার রাউন্ড।
১. আর্ট না ইতিহাস
উত্তর- দুটোই বেশ পছন্দের, যেহেতু একটাই বেছে নিতে হবে তো আঁকা।
২. বাঙালিয়ানা না ওয়েস্টার্ন
উত্তর- বাঙালিয়ানা
৩.  সিনেমা না ওয়েব সিরিজ
উত্তর- কোনাটাই দেখা হয় না, বাড়িতে টেলিভিশন নেই।
৪. আবীর না অনির্বাণ
উত্তর- সেলেবদের নিয়ে আগ্রহ বরাবরই কম।
৫. মাইক্রো আর্ট না ম্যাক্রো আর্ট
উত্তর- মাইক্রো আর্ট।
৬. ফেসবুক না ইনস্টাগ্রাম।
উত্তর- ফেসবুক।
৭. হাতে কলমে আঁকা নাকি ট্যাব পেইন্টিং।
উত্তর- হাতে কলমে।
শেষ প্রশ্ন,
দীপজ্যোতি - কেমন লাগলো নেটফড়িং এর এই উদ্যোগ?
শ্রেয়সী - নেটফড়িং- কে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনাদের এই উদ্যোগ আমার বেশ ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে আমাদের সাথে থাকার জন্য, আমাদের কে এতটা সময় দেওয়ার জন্য। ভালো থেকো। তোমার আরোও সাফল্য কামনা করি।

Jul 19, 2020

নেট ফড়িং সংখ্যা- ১৫০

Edit Posted by with No comments

Jul 12, 2020

ফড়িং সাক্ষাৎ

Edit Posted by with No comments

অতিথি- “সপ্তদ্বীপা চৌধুরী (মডেল ও অভিনেত্রী)”
সাক্ষাৎকার ও অণুলিখন- দীপজ্যোতি গাঙ্গুলী 


নেটফড়িং অনলাইন ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোচবিহার তথা বাংলার বেশ কিছু মানুষ যারা নিজ নিজ কাজে অত্যন্ত পারদর্শী ও পরিচিত মুখ, তাদের মুখে তাদের জার্নি শুনে সেটা নেটফড়িং এর পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। গত সংখ্যার পর এই সংখ্যায় থাকছে আরও এক বিশেষ মানুষের সাক্ষাৎকার। মডেলিং থেকে অভিনয় সব ক্ষেত্রেই সে অনবদ্য। আজ আমাদের সাথে আছেন, মডেল, অভিনেত্রী, কোচবিহারের "ক্রাশ" সপ্তদ্বীপা চৌধুরী।

দীপজ্যোতি- নমস্কার দিদি, শুরুতেই তোমাকে স্বাগত জানাই নেটফড়িং আয়োজিত ‘ফড়িং সাক্ষাৎ’ এ।
সপ্তদ্বীপা- অনেক ধন্যবাদ।
দীপজ্যোতি - দিদি, তোমার কাছে আমার প্রথম জিজ্ঞাসা, এখন তো লকডাউন চলছে, মানে অনেকেই বলছিল একটা লম্বা ছুটি। কিভাবে কাটাচ্ছো এই লম্বা ছুটি?
সপ্তদ্বীপা - প্রথমত এই "লকডাউন" পিরিয়ডটাকে আমি "হলিডেস" এর তকমা দিতে রাজি নই।
আমরা একটা খুবই বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি বিগত ৩ মাস ধরে। আবার অনেক সাধারণ জনগণের কাছে এটা হয়তো "লম্বা ছুটি" কারণ ফেসবুক টাইমলাইন থেকে শুরু করে ইন্সটা স্টোরি এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসেও রীতিমতো উইথ ক্যাপশন "হ্যাসট্যাগ হলিডে টাইমপাস" পোস্ট আমরা দেখতে পাই।
কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে এই "লকডাউন হলিডেস"টা "ওভারটাইম" এ পরিণত হয়েছে। হয়তো এই "সো-কল্ড" হলিডে শেষ হলেই তাদের রিলিফ হবে।
যাই হোক আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই আমরা একটা করোনা-মুক্ত সুস্থ সকাল দেখতে পাবো।

এবারে আসি আমি কিভাবে কাটাচ্ছি এই সময়গুলো। শ্যুটের কারণে সাধারণত বাড়িতে খুব একটা সময় পেতাম না। তাই প্রথম যেটা করছি সেটা হল, বাবা-মায়ের সাথে প্রচুর আড্ডা দেওয়া, তাদেরকে সময় দেওয়া, তাদের সাথে নিজের সব কথা শেয়ার করা, আর তাদের কথাগুলো জানা। আর তাছাড়া আমি খুবই শৌখিন প্রকৃতির, তাই ঘর গোছানো আমার একটা বড় হবি। বিশেষ করে যথাস্থানে সব গুছিয়ে রাখতে আমার খুব ভালো লাগে। সেইজন্যে নিজের ঘর থেকে শুরু করে ড্রয়িং-রুম সবখানেই আমার গোছানো চলতে থাকে। 
তারপর মায়ের সাথের বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল রান্নায় উঁকিঝুঁকি মেরে মাকে সাহায্য করা। এখন প্লিজ এটা জিজ্ঞেস কোরোনা যে আমি কি কি রান্না করেছি বা পারি কারণ এই কুকিং প্যাশনটা এখনও ঠিক আমার মধ্যে আসেনি...।।
এছাড়া আরও সময় কাটাচ্ছি ওয়েব সিরিজ, সিনেমা দেখে।

দীপজ্যোতি - মডেলিং থেকে অভিনয় দুটোতেই তুমি অনবদ্য। এই যে তোমার এতো সাকসেস এটা কি তোমার মধ্যে কখনো কোনো নেগেটিভ প্রেসার তৈরি করে?
সপ্তদ্বীপা - কখনই না। বেসিক্যালি আমি একজন খুবই পজিটিভ মানুষ। (হ্যাসট্যাগ স্টে-পজিটিভ)। নিজেতো পজিটিভ থাকিই আর তার সাথে সাথে আমি যে সার্কেলে যখন থাকি সেখানেও পজিটিভ ভাইবস দেই। আমি নেগেটিভিটির মধ্যেও পজিটিভিটি খুঁজি। সেটা আরও মজাদার।

দীপজ্যোতি - একটা কথা খুব শোনা যায়, যারা অভিনয় করছে বা মডেলিং করছে, তাদের অনেক রকম চরিত্র নিয়ে ঘাঁটতে হয়, অনেক চরিত্রকে আত্মস্থ করতে হয়। কখনো কি মনে হয়েছে এইসব চরিত্রের মাঝে তুমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছো?
সপ্তদ্বীপা - প্রত্যেকটি চরিত্রের একটা আলাদা সত্তা থাকে। চরিত্রের সাথে সাথে সেই চরিত্রের সত্তাটারও বদল হয়। কারণ আমরা যখন আলাদা আলাদা চরিত্রে অভিনয় করি তখন আমাদের সেই সত্তা তার মধ্যে প্রবেশ করতে হয়, অভিনয়কে আরও ফুটিয়ে তোলার জন্য। চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ না করলে দর্শকের মনে সেই চরিত্রটি কখনই দাগ কাটতে পারেনা।
গ্রামের একটি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে তার ওই গ্রাম্য ভাব, সেই চরিত্রের সারল্য, তার কথা বলার ধরণ, হাঁটাচলা, আদব-কায়দা এগুলো আমাকে অবগত করতে হবে। আর তাতেই সেই চরিত্রটির সফলতা।
একটি চরিত্রকে যথাযথ ভাবে তুলে ধরার জন্য সেটা আত্মস্থ করা আবশ্যক। কিন্তু তাই বলে এটা নয় নিজেকে হারিয়ে ফেলা। কারণ আমি একটি অন্য সত্তার মানুষ। আর আমি যে চরিত্রটি করছি সেটা সম্পূর্ণ বিপরীত সত্তার, আর সেটা অন ক্যামেরা।
আর অভিনয় হল সেটাই নিজের থেকে বেরিয়ে সেই নির্দিষ্ট চরিত্রে ঢোকা। বাট এট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে আমি কিন্তু আমিই থাকি। কারণ আমি আজ হয়তো একটা গ্রাম্য মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি, কাল হয়তো আধুনিক কোনও মেয়ের চরিত্রে করবো। আর আগের চরিত্র থেকে না বেরোতে পারলে আমি পরের চরিত্রে কখনই অভিনয় করতে পারবো না।

দীপজ্যোতি - মডেলিং এ আসা কাকে ফলো করে? মানে তোমার ইনস্পিরিশন কে?
সপ্তদ্বীপা - আমার ইনস্পিরিশন আমি নিজেই। কারণ আমি নিজের ভুল থেকে নিজে শিখি। নিজে কোনও কিছুতে বাধা পেলে সেটা থেকে নিজেই বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। আমার মতে আমি নিজেই আমার বড় কম্পিটিটর। নিজের সাথে নিজের দ্বন্দ্ব আমাদের এগিয়ে যেতে আরও সাহায্য করে।
প্রথমত ছোটবেলা থেকে কোনদিনও মডেলিং বা অভিনয়ের স্বপ্ন দেখিনি। তাই কাউকে ফলো করে এই প্রফেশনে আসাটা একদমই না।
ছোটবেলা থেকে নাচ, গান, কবিতাপাঠ, নাটক এসব নিয়ে উৎসাহী ছিলাম। এমনকি টেবিল টেনিস খেলাও শিখেছি। কিন্তু যা হয়, পড়াশোনার চাপে ক্লাস ১০ এর পর সব কিছুই কমে যায়। আর চর্চা না থাকলে মানুষ সেটা ভুলতে বসে। ক্লাস ১২ এর পর কলকাতায় কলেজ লাইফ শুরু হয়। গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করি মাস-কমিউনিকেশন নিয়ে। বরাবরই খুব ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম। তাই মা বাবা ভেবেছিল হয়তো এম.এ শেষ করে সাংবাদিকতায় পিএইচডি করবো বা এই লাইনেই এগোবো। কিন্তু হঠাৎই চলে আসা মডেলিং এর প্রফেশন এ। আর সেখান থেকে অভিনয়। তারপর দু’বার ভাবতে হয়নি যে কোনটাকে আমার ক্যারিয়ার করবো। আর সব থেকে বড় পাওনা মা বাবার সাপোর্ট সেটা না হলে এই প্রফেশনে এতটা সাফল্য সম্ভব ছিলো না।

দীপজ্যোতি - এমন কোনো স্বপ্ন আছে জীবনে, যা কখনো পূরণ হবার মতো না? 
সপ্তদ্বীপা - এরকম আজব স্বপ্ন একটা নয় অনেকগুলোই আছে। তার মধ্যে দুটো মেনশন করছি।
একটা হল, চাঁদ থেকে পৃথিবীকে দেখা।
আর বারমুডা ট্রাই অ্যাঙ্গেলে যাওয়া। আসল সত্যিটা জেনে রহস্য উদঘাটন করতে।

দীপজ্যোতি - ওয়েব সিরিজ নিশ্চয়ই দেখো। প্রিয় ওয়েব সিরিজ কি?
সপ্তদ্বীপা - শুধু একটা নয় পছন্দের তালিকায় আছে পাঁচটি ওয়েব সিরিজ।

১ পাতাল লোক
২ স্পেশাল অপস
৩ পঞ্চায়েত
৪ অসুর
৫ আর্য


দীপজ্যোতি-  টলিউডে বা ওয়েবসিরিজগুলোতে কাজ করার ইচ্ছে আছে?
সপ্তদ্বীপা - অফার যে পাইনি সেটা বললে ভুল বলা হবে। আসলে ভালো চিত্রনাট্য না হলে সেই কাজের জায়গাটা কতটা খাঁটি সেটা না জেনে আমার পা বাড়ানোর ইচ্ছে নেই। সেটা সিরিয়ালই হোক বা ওয়েব সিরিজই হোক না কেন।

দীপজ্যোতি - আগামীতে যারা মডেলিং বা অভিনয় করতে চাচ্ছে তাদের জন্য কি বার্তা দেবে?
সপ্তদ্বীপা - Be focused on your own path...
Stay Positive always...
Ignore all kind of negativity...
Make bold Choices...
Increase your patience level...
Do whatever you want...
Always remind one thing -
“Criticism is an indirect form of self-boasting...
Criticism is like rain, should be gentle enough to nourish a man’s growth without destroying his roots.”

দীপজ্যোতি - তুমি তো মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেছো। মডেলিং নাকি অভিনয় কোনটা বেশি চ্যালেঞ্জিং? 
সপ্তদ্বীপা- দুটো দু-ধরণের ফিল্ড। একটার সাথে আরেকটার তুলনা করা যায় না।
মডেলিং ফিল্ডটা মেইনলি কনসেপ্ট, লুকস, ড্রেস-আপ, সেটআপ, মডেলের এক্সপ্রেশান এগুলোর ওপর নির্ভর করে। আর অভিনয়ের জন্য দরকার "অভিনয় করতে পারা"।

দীপজ্যোতি - একটা প্রশ্ন এটা শুধু আমার না এটা অনেকেরই প্রশ্ন। বলা যায় জাতি জানতে চায়। পরিচিতি পাওয়ার আগেও কি এতো প্রেম নিবেদন আসতো?
সপ্তদ্বীপা - এই প্রশ্নটা এক্সপেক্টেড ছিল। ফ্র্যাঙ্কলি স্পিকিং ক্লাস ৭-৮ থেকেই প্রপোজাল পাওয়া শুরু করেছিলাম। 
আমাদের সময় এই ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ জিনিসগুলো তো আর ছিলোনা। তাই চিঠিতে আর স্কুলের খাতার পেছনের পাতা ছিঁড়ে লিখে দিতো আর কি।
তারপর যত বড় হয়েছি প্রপোজাল এর সংখ্যাও বেড়েছে।
আর এখন বলে না, শেষ তিন বছর থেকে পরিচিত মুখ হবার পর সেটা আরওই বেড়েছে। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে।
যা হয় না চিনে, না জেনেই প্রপোজ করে বসে। ইভেন, এখন তো সিনও করিনা। কারণ এত্ত মেসেজ বা ফ্রেন্ড-রিকোয়েস্ট আসে, নরমাল মেসেজেরও রিপ্লাই করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তুলনামুলক বলতে পারো, আগের থেকে এখন অনেকটাই বেশি প্রপোজাল পাই।

শেষ কয়েকটা প্রশ্ন যেকোনো একটা অপশন বেছে নিতে হবে, বলতে পারো একটা র‍্যাপিড ফায়ার রাউন্ড।

  ফ্যাশন শুট নাকি ব্রাইডাল শুট ?
- ফ্যাশন শুট

  অনির্বাণ নাকি আবীর ?
- আবীর (আহঃ, দ্যাট স্মাইল)

৩ বাঙালিয়ানা নাকি ওয়েস্টার্ন ?
- দুটোই (এটা আসলে নির্ভর করে কোথায় যাচ্ছি বা কি রিলেটেড কনসেপ্ট তার ওপর)

৪ উইথ মেকআপ নাকি মেকআপ ছাড়া ?
- উইথ আউট মেকআপ বাট অনলি লাইট টাচ আপ। আমি হেভি মেকআপ পছন্দ করিনা। সেটা শুটেই হোক বা নরমাল আউটিং।

  মডেলিং না অভিনয় ?
- অভিনয়

  ইন্ডোর শুট না আউটডোর শুট ?
- আউটডোর শুট

৭ ফেসবুক লাইভ না ইনস্টা লাইভ ?
- ফেসবুক লাইভ

৮ কোচবিহার না কলকাতা ?
- অবশ্যই নিজের শহর কোচবিহার। (যদিও ৫ বছর) কলকাতায় থাকায় অই শহরটার প্রতিও একটা মায়া আছে)।

  বলিউড না টলিউড ?
- রিয়াল ট্যালেন্ট। (সেটা বলিউড হোক বা টলিউড)

১০  বই না সিনেমা ?
- সিনেমা।
  
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে আমাদের সাথে থাকার জন্য, আমাদের কে এতটা সময় দেওয়ার জন্য। ভালো থেকো। তোমার আরোও সাফল্য কামনা করি।

প্রতিবেদনের-
ছবি- তন্ময় দে 
রুপ- সজ্জা- দেবলিনা

ফড়িং সাক্ষাৎ

Edit Posted by with No comments


অতিথি- “গৌর সাহা (চিত্রগ্রাহক)”
সাক্ষাৎকার ও অণুলিখন- দীপজ্যোতি গাঙ্গুলী


নেটফড়িং অনলাইন ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোচবিহার তথা বাংলার বেশ কিছু মানুষ যারা নিজ নিজ কাজে অত্যন্ত পারদর্শী ও পরিচিত মুখ, তাদের মুখে তাদের অভিজ্ঞতা শুনে সেটা নেট ফড়িং এর পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আর সে জন্যই এই সংখ্যায় থাকছে এই বিশেষ বিভাগ ফড়িং সাক্ষাৎ। আজ আমাদের সঙ্গে আছেন কোচবিহার শহরের সেরা চিত্রগ্রাহকদের মধ্যে একজন, গৌর সাহা।


দীপজ্যোতি- নমস্কার দাদা, শুরুতেই তোমাকে স্বাগত জানাই নেট ফড়িং আয়োজিত ফড়িং সাক্ষাৎ এ।
গৌর- অনেক ধন্যবাদ তোমাদের।
দীপজ্যোতি- দাদা, এখন তো লকডাউন চলছে, মানে অনেকেই বলছিল একটা লম্বা ছুটি। কিভাবে কাটাচ্ছো এই লম্বা ছুটি?
গৌর- প্রথম প্রথম লম্বা ছুটি হবে ভেবে বোর হচ্ছিলাম। প্রথম কয়েকদিন মুভিস, ওয়েব সিরিজ দেখে কাটিয়েছি। তারপর একমাস ফটোগ্রাফি স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য নিজেকে সময় দিয়েছি। আমি বরাবর ডাইরি মেইনটেন করতে পছন্দ করি। তারপর লকডাউনের শেষের দিকে নতুন ফটোগ্রাফারদের কথা ভেবে একটা খুব সহজ ভাবে উদাহরণ সহ ফটোগ্রাফি কোর্স বানিয়েছি। এতে আমার এক্সপেরিয়েন্সও শেয়ার করেছি। আশা করি এতে সবাই অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারবে। আমি যা জানি আমি সবাইকে শেখাতে ও জানাতে পছন্দ করি।
দীপজ্যোতি- আচ্ছা, এখন তো তোমার শুটিং নেই, অন্যান্য কাজগুলোও নেই এই সময় নিজেকে কিভাবে এক্সপ্লোর করছো।
গৌর - কাজ নেই। শুধু ব্রাইডাল ডেমোনেস্ত্রেশন ফটোশুট হচ্ছে। তাও খুব কম। নিজেকে এক্সপ্লোর বলতে অনেকটা সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা, আর কিছু ভিডিও করার চেষ্টা করছি। এখন ফটোগ্রাফি শেখার, জানার, ও নতুন নতুন কিছু টেকনিক রপ্ত করার চেষ্টা করছি।
দীপজ্যোতি - এমন কিছু যা তোমার আগে করা হয়নি সময়ের অভাবে এখন করছ।
গৌর - সময়ের অভাবে কম্পিউটার ফাইল ম্যানেজমেন্ট, আর নতুন ভাবে এডিটিং টেকনিকের উপর সময় দেওয়া সেভাবে হতোনা। এখন সেগুলো করছি।
দীপজ্যোতি - এই যে তুমি দিন দিন এত ভালো ভালো শুট করছো, এখন তো দত্ত জুয়েলার্সের হয়েও ফটো শুট করলে। এই যে সাকসেস এটা কি তোমার মধ্যে কখনো নেগেটিভ প্রেসার তৈরি করেছে ?
গৌর - আমার ব্যাক্তিগত কিছু কথা আছে। এই যে সবাই ফেমাস সাক্সেস এসব বলে। আমি বুঝে উঠতে পারি না এখনও সেগুলো। এখনও মনে হয় হয়তো আমি পারিনি কিছু করে উঠতে। আমার তোলা ফটো যাতে সবার ভালো লাগে সেটাই চাই। আসলে সত্যি কথা মাঝে মাঝে অবসাদে ভুগি। আবার সেটাকে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করি। ফটোগ্রাফি আমার জীবনের একটা এমন জিনিস যা আমার জীবন পাল্টে দিয়েছে। নিজের তোলা ছবিতে কখনও সন্তুষ্ট হইনা, মনে হয় আর ভালো তুলতে পারতাম।
দীপজ্যোতি - এখন বেশির ভাগ মানুষ মডেল শুট মানেই  ব্রাইডাল শুট বোঝে তাহলে কি ফটোগ্রাফির পরিসর দিন দিন কমতে কমতে ব্রাইডালএ সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে? এ বিষয়ে কি বলবে।
গৌর - মডেল শুট মানেই ব্রাইডাল শুট এটা অনেকেই ভেবে থাকেন। কিন্তু কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি ওখানে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, মডেল শুট ই-কমার্স, ক্যাম্পেইন শুট, ফ্যাশন স্টোর বেসড। ফ্যাশন কোম্পানি বেশি হবার কারণে ওখানে মডেল শুট ঠিক মতো চলছে। আর ইনডোরের ক্ষেত্রে এখানে ব্রাইডাল শুট চলছে। তো এটাকে মডেল শুট বলা যায় না। সঠিক আলোর ব্যাবস্থা না থাকার কারণে আমিও এখানে করতে পারছি না। তবে আশা রাখছি একদিন নিশ্চয়ই করবো। তবে কোচবিহারে কিছু স্যার রয়েছেন। তারা খুব সুন্দর ফ্যাশন শুট করছেন। সত্যি এগুলো দেখলে বোঝা যাবে, ব্রাইডালের বাইরেও ফ্যাশন শুট হয়। আর আসল ফ্যাশন শুট আসলে কি...
দীপজ্যোতি - দাদা তোমার  ফটোগ্রাফির ইনস্পিরিশন কে মানে বাজারি ভাষায় কাকে দেখে এই লাইনে আসা?
গৌর - লাইনে আসা বলতে, সেদিন থেকে এই লাইনে এসেছি যেদিন আনন্দবাজার পত্রিকাতে আমার তোলা রাজবাড়ী’র ফটো সেরা হয়েছিল। সেই সম্মান আর সেই দিন আমি কোনদিনও ভুলবনা। দিনটা ছিল, ১৯শে আগস্ট, ২০১৫, ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি ডে। আর তাছাড়া ফ্যাশন শুটের ক্ষেত্রে ডাব্বু রতলানি স্যার বা আর যারা যারা ইউটিউবে রয়েছেন তাদের ভিডিও দেখে রপ্ত করেছি অনেকটা। আর তাছাড়া আমার বন্ধু তমোজিতের তোলা ছবি দেখে এতো ভালো লাগে, আমিও চাই সেরকম শুট কোচবিহারের মডেলদের জন্য সহজলভ্য হোক। আর একটা কথা, সেই প্রথম দিনের পর হয়তো কিছু কিছু সম্মান পেলেও অ্যাওয়ার্ড পাইনি। যাই হোক, না পেলেও ঠিক আছে। জীবনে শেখার ইচ্ছে আর বেড়ে যায় তাতে।
দীপজ্যোতি - একদম ঠিক বলেছ। আচ্ছা, তুমি ওয়েব সিরিজ দেখো?
গৌর - ওয়েব সিরিজ সেভাবে কোনদিনও দেখতাম না। কিন্তু লকডাউনে দেখা দেখা শুরু করেছি। তবে পেইড কিছু নেইনি। (হাসি)
দীপজ্যোতি - তোমার প্রিয় ওয়েব সিরিজ কোনটা?
গৌর - প্রিয় বলতে অনেক গুলোই আছে। সেভাবে একটা বলা মুশকিল।
দীপজ্যোতি- এর পরে তোমার কি প্ল্যান ফটোগ্রাফিকে নিয়ে?
গৌর - প্ল্যান যা করেছিলাম, করোনা এসে শেষ করে দিয়েছে। আশা করি ঠিক হবার পর করতে পারবো। প্ল্যান বলতে আরো ভালো কাজ করার। আমি সবাইকে বলবো যদি আমার কাজ সবার মন থেকে ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাকে কাজের জন্য বলতে পারো।
দীপজ্যোতি - টলিউড বা ওয়েবসিরিজগুলোতে কাজ করার ইচ্ছে আছে?
গৌর - টলিউড কাজ নিয়ে একটা দারুণ ঘটনা আছে। নাম নেবো না। তিনবার গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। প্রথম সুযোগ এসেছিল সেলিব্রিটিদের পার্সোনাল ফটোগ্রাফার হবার। আমি না করি পড়াশোনার জন্য। তারপর দ্বিতীয়বার চেষ্টা করি কিছুদিন আগে কিন্তু হয়নি। যাই হোক, যতটুকু পাওয়া যায় ততটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত।
দীপজ্যোতি - তোমার প্রিয় সিনেমা ?
গৌর-  প্রিয় সিনেমা আয়রন ম্যান। আই লাভ রবার্ট ড্রাউনি জুনিয়র।
দীপজ্যোতি - আগামীতে যারা ফটোগ্রাফি করতে চাচ্ছে তাদের জন্য কি বার্তা দেবে?
গৌর - মন থেকে ফটোগ্রাফি এলে সেটাকেই বেছে নাও। নিঃস্বার্থ ভাবে যদি এটাকে ভালো লাগে তবে ঠিক আছে। তবে একটাই শর্ত পড়াশোনা শেষ করে আসো। আমি পড়াশোনা করার জন্য টাকার প্রয়োজনে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করে পড়াশোনা করেছি। তাই পড়াশোনাটা সবচেয়ে জরুরি। আর ব্যবহার ভালো রাখবে সবার সাথে, সবাই তাহলে মান্যতা দেবে। আর ফটোগ্রাফি নিয়ে কিছু প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করবে আমি সবসময় তোমাদের সাথে আছি।
শেষ কয়েকটা প্রশ্ন যেকোনো একটা অপশন বেছে নিতে হবে, বলতে পারো একটা র‍্যাপিড ফায়ার রাউন্ড।
১  স্ট্রিট ফটোগ্রাফি নাকি মডেল শুট ?
- মডেল শুট
২  হইচই নাকি নেটফ্লিক্স ?
- হইচই
৩ বাঙালিয়ানা নাকি ওয়েস্টার্ন ?
-সেটা যাকে যেটাতে মানায় তাকে সেটাই পরতে বলি। আমার পছন্দ  ওয়েস্টার্ন।
৪ ক্যানন নাকি নিকন ?
-সবসময় নিকন।
৫ তরুণ খৈয়াল নাকি ডাব্বু রতলানি?
-ডাব্বু রতলানি
৬ ইন্ডোর শুট না আউটডোর শুট ?
-ইনডোর। যদিও আমি আউট ডোরটা বেশি করি।
৭ ফেসবুক না ইনস্টাগ্রাম ?
-ফেসবুক
৮ কোচবিহার না কলকাতা ?
-কোচবিহার।
শেষ প্রশ্ন...
৯ নেটফড়িং না ক্যামেরানা ?
-ক্যামেরানা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। হ্যাঁ নেপটিজম আছে ওখানে। তাই নেটফড়িং কেই সিলেক্ট করবো।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে আমাদের সাথে থাকার জন্য, আমাদের কে এতটা সময় দেওয়ার জন্য। ভালো থেকো।

নেট ফড়িং সংখ্যা- ১৪৯ (বর্ষা সংখ্যা)

Edit Posted by with No comments

Jul 11, 2020

তিন-এ নেত্র- (স্বপন কুমার রায়)

Edit Posted by with No comments


তিন-এ নেত্র
স্বপন কুমার রায়

নমিতার মেয়েটা দুলে দুলে নামটা পড়ছে,
এক- এ চন্দ্র, দুই -এ পক্ষ, তিন-এ নেত্র।
অনেকটা সময় ধরে উনুনের হাঁড়িতে জল ফোটাচ্ছে
নমিতা,
মেয়েটা তিন সন্ধ্যা বেলায় খাবার চেয়েছিল,
এই ভর সন্ধ্যায় "ভূতেরা" খায়
এখন খেতে নেই !
এই বলে, মেয়েটাকে চুপ করায়,
এই দিকে মুষ্টির ঘটির চাল টুকো দুপুরে সেদ্ধ করি;
নমিতার বাপটা' সকাল আট'টায় কাজে গিয়েছে |
বলে গিয়েছিল,
ফিরতে দেরি হবে,ওভার ডিউটি আছে
বাড়তি মজুরিতে আমার জন্য শরীর উম রাখার একটা জামা,
মেয়ের জন্য একটা ড্রয়িং করা খাতা আর একটা ট্রাউজার কিনে আনবে,
কেন' যে এত দেরী !
ও মা'- মা
তিন-এ নেত্র ;কারো কারো বুঝি তিনটি চোখ !
হ্যাঁ মা' …না, মা...!!
মেয়েটা কল কল করে বলেই যাচ্ছে,
আমি অনেকগুলি পড়াশুনা করবো।
স্কুল থেকে সাইকেল পাবো,
বই পাবো,
জুতো পাবে,
মা' - আমাদের নামতা পড়ার শিক্ষক
"বল্লে"
পড়াশোনা করলে এক সঙ্গে অনেকগুলো টাকা পাবো !
মেয়ের কথা শুনে নমিতার চোখে জল ছল ছল করে,
মেয়েটা কখন জানি ঘুমিয়ে পরে ছেঁড়া পৃথিবীর উপর ছেঁড়া মাদুরের উপর,
অনেক রাতে !
বাজার শূন্য ব্যাগ পরে রয় মাদুরের একপাশে,
ততক্ষণে হাঁড়ি ভর্তি জল বাষ্প হয়ে চোখের কোণে শুকিয়ে,
তিনটি মানুষ পৃথিবীর এক কোণে ছেঁড়া পৃথিবীর উপর ছেঁড়া মাদুরটায় শুয়ে !

Jul 5, 2020

নেট ফড়িং সংখ্যা- ১৪৮

Edit Posted by with 2 comments