Jul 24, 2020

ফড়িং সাক্ষাৎ

Edit Posted by with 1 comment

অতিথি- “শ্রেয়সী ধর (চিত্রশিল্পী)
সাক্ষাৎকার ও অণুলিখন- দীপজ্যোতি গাঙ্গুলী

নেটফড়িং অনলাইন ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোচবিহার তথা বাংলার বেশ কিছু মানুষ যারা নিজ নিজ কাজে অত্যন্ত পারদর্শী ও পরিচিত মুখ, তাদের মুখে তাদের জার্নি শুনে সেটা নেটফড়িং এর পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। গত সংখ্যার পর এই সংখ্যায় থাকছে আরও এক বিশেষ মানুষের সাক্ষাৎকার। আজ আমাদের সাথে আছে আলিপুরদুয়ারের শ্রেয়সী ধর। যার নাম এখন শুধু আলিপুরদুয়ার বা বাংলায় আটকে নেই, পৌঁছে গিয়েছে "ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড" এ।


দীপজ্যোতি - নমস্কার শ্রেয়সী, শুরুতেই তোমাকে স্বাগত জানাই নেটফড়িং আয়োজিত ফড়িং সাক্ষাতে।
শ্রেয়সী - অনেক ধন্যবাদ।
দীপজ্যোতি- এখন তো লকডাউন চলছে মানে অনেকেই বলছিল একটা লম্বা ছুটি। কিভাবে কাটাচ্ছো এই লম্বা ছুটি?
শ্রেয়সী - এই অবসরে আমি আঁকাআঁকি, বিভিন্ন কবিতা-গল্পের বই পড়ছি, আবৃত্তি চর্চা এসবের মাঝেই নিজেকে ব্যস্ত রাখছি আর অবশ্যই পরিবারের সকলের সাথে বেশ ভালো সময় কাটছে।
দীপজ্যোতি- ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠলো তোমার। কেমন অনুভব করেছিলে?
শ্রেয়সী - আমি একদমই আশাবাদী ছিলাম না এ বিষয়ে যে আমার শিল্পকর্ম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে স্বীকৃতি পাবে, আমার শিল্পকর্মকে সন্মান জানানো হবে। যেদিন জানতে পারলাম (আমাকে মেইল করে জানানো হয়) ভীষণ ভালো লেগেছিল।
দীপজ্যোতি- এই যে এত বড় সাকসেস এটা কি কখনো তোমার মধ্যে কখনো কোনো নেগেটিভ প্রেসার তৈরি করে?
শ্রেয়সী - একদমই না।
দীপজ্যোতি- চিনির দানায় ভারতের পতাকা এই চিন্তা কিভাবে আসলো মাথায়। যদি গল্পটা শেয়ার করতে...
শ্রেয়সী - আমি জল রঙ, পেন্সিল স্কেচ আরও বিভিন্ন রকম আঁকাআঁকি নিয়ে চর্চা করছি কিন্তু এই ক্ষুদ্র দানার মধ্যে এটাই আমার করা প্রথম কাজ। এই আঁকার অনুপ্রেরণা পাওয়া কলকাতা নিবাসী বন্ধুদের কাছ থেকে। তারা এসব আঁকা নিয়ে অনেক দিন যাবত চর্চা করছে তারা ফেসবুকে পোস্ট আমি দেখতাম ভীষণ ভালো লাগতো। তারপর ভাবলাম যে আমিও এবার নতুনত্ব কিছু করার চেষ্টা করি।
দীপজ্যোতি - কি ধরণের আর্ট করতে ভালো লাগে?
শ্রেয়সী - ওয়েল পেইন্টিং।
দীপজ্যোতি - তুমি তো ইতিহাসের ছাত্রী। তা ভবিষ্যতে কি নিয়ে এগোনোর ইচ্ছে আছে?
শ্রেয়সী - পড়াশোনার চাইতে আমার আঁকার প্রতি ঝোঁক বেশি তাই আগামী দিনে শিল্পকর্ম নিয়েই এগিয়ে যাবার পরিকল্পনা রয়েছে।
দীপজ্যোতি - প্রিয় চিত্রশিল্পী কে?
শ্রেয়সী - পাবলো পিকাসো।
দীপজ্যোতি - জীবনে এমন কোনো ইচ্ছে, যা কখনো পূরণ হবার মতো নয়?
শ্রেয়সী - না, এমন কোনো ইচ্ছে নেই যা পূরণ হবার নয় নয়। সব ইচ্ছে কে বাস্তবায়িত করার জেদ নিয়েই এগিয়ে চলছি।
দীপজ্যোতি - ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম ওঠার পর, পাড়া-প্রতিবেশী আর আত্মীয়স্বজনরা কি বললো?
শ্রেয়সী - সবাই বেশ খুশী
দীপজ্যোতি - তুমি তো চিত্রশিল্পী। ভবিষ্যতে কোনোদিন নেটফড়িং এর প্রচ্ছদ আঁকার সুযোগ আসলে আঁকবে?
শ্রেয়সী - অবশ্যই, আঁকবো।
শেষ কয়েকটা প্রশ্ন যেকোনো একটা অপশন বেছে নিতে হবে, বলতে পারো একটা র্যাপিড ফায়ার রাউন্ড।
১. আর্ট না ইতিহাস
উত্তর- দুটোই বেশ পছন্দের, যেহেতু একটাই বেছে নিতে হবে তো আঁকা।
২. বাঙালিয়ানা না ওয়েস্টার্ন
উত্তর- বাঙালিয়ানা
৩.  সিনেমা না ওয়েব সিরিজ
উত্তর- কোনাটাই দেখা হয় না, বাড়িতে টেলিভিশন নেই।
৪. আবীর না অনির্বাণ
উত্তর- সেলেবদের নিয়ে আগ্রহ বরাবরই কম।
৫. মাইক্রো আর্ট না ম্যাক্রো আর্ট
উত্তর- মাইক্রো আর্ট।
৬. ফেসবুক না ইনস্টাগ্রাম।
উত্তর- ফেসবুক।
৭. হাতে কলমে আঁকা নাকি ট্যাব পেইন্টিং।
উত্তর- হাতে কলমে।
শেষ প্রশ্ন,
দীপজ্যোতি - কেমন লাগলো নেটফড়িং এর এই উদ্যোগ?
শ্রেয়সী - নেটফড়িং- কে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনাদের এই উদ্যোগ আমার বেশ ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে আমাদের সাথে থাকার জন্য, আমাদের কে এতটা সময় দেওয়ার জন্য। ভালো থেকো। তোমার আরোও সাফল্য কামনা করি।

1 comment: