লেখকের চোখে নেট ফড়িং
লিখেছেন- চুমকি দাস
বছর দেড়েক আগেও ছুটির দিন ভেবেই রবিবার এর অপেক্ষা, এখন তার থেকেও বেশী
অপেক্ষা রবিবার দুপুরে হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে আসা একটি নোটিফিকেশন- যার শিরোনাম
‘প্রকাশিত হল নেটফড়িং সংখ্যা.....’
লেখা কি, তাতে এত ভালো থাকা, বেঁচে থাকা যায় তা তখনও জানা ছিল না। ছবির
ক্যাপশনে লেখা কিছু কথা দেখেই একদিন কলমের সাথে জড়িত এক বোন-বান্ধবীর বলা – “লিখতে
থাক লেখা একদিন ধরা দেবেই ‘আর’ শোন একটা পত্রিকা আছে প্রতি রবিবার প্রকাশ হয়, তাতে
তরুণ প্রজন্মের জন্য একটা বিশেষ জায়গা রয়েছে, নাম... ‘নেট ফড়িং’।”
হ্যাঁ একটি সাহিত্য পত্রিকা, নেটে-নেটে বিশ্ব ঘোরা ফড়িং কথা –‘নেট ফড়িং’।
সেই যে নাম শোনা, মাথায় ছিল - কিন্তু কি করে লেখা পাঠাবো, কি করে দেখবো
- আমার তো ফেসবুক নেই সবটা দেখবো, পরেই লাইভ ক্লাস হবে শুনে ফেসবুক খোলা আর ‘নেটফড়িং’কে
খুঁজে পাওয়া, পাওয়া অনেক লেখা - লেখকদের, পাওয়া কবি ও সম্পাদক শুধু নয় গান লেখা
থেকে গেয়ে সুরে মোহিত করা বিক্রম দাদাকে । কিন্তু নেট ফড়িং এর সমস্ত সংখ্যা ছুঁয়ে
দেখার পর একটু ভাবুক হলাম - আমার লেখা কি আর....। ভাবতে ভাবতে একটা লেখা পাঠিয়েই দিলাম
কিছুটা সাহস করেই, ঠিক রবিবার দুপুরে একটা নোটিফিকেশন এল – ‘প্রকাশিত হল নেট ফড়িং
সংখ্যা....’ কিছুটা ভয়, আনন্দ, আশা সবটা মিলিয়ে কেমন যেন ভাবতে ভাবতেই পিডিএফ খুলে
লেখকসূচীতে অনেক নক্ষত্রর মাঝে নিজের নাম পাওয়া, সাথে কত লেখা, ক্যামেরাবন্দী, গল্প,
আরো অনেক কিছু...। সেই দিন নিয়ে কি আর বলার, সবারই এমন একটা দিন ও অনুভূতি আছেই। তারপর
থেকে নিয়মিত লেখা, ক্যামেরাবন্দী, বোনের করা স্কেচ নেট ফড়িং এ ঘুরছে। এখন নিয়মিত
লেখা হয় না যদিও, কিন্তু সেই নোটিফিকেশন এর অপেক্ষা ও দিনগোনা...
নেটে-নেটে ঘুরে-ঘুরে ‘নেট ফড়িং’ আজ ২০০ সংখ্যায় পদার্পণ করে নানা রঙে
সেজে উঠেছে। প্রান্তিক শহরে বসে এই নিয়মিত চর্চাকে শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানাতেই হয়,
এতেই তো ভালো থাকা ও জীবনের রসদ পাওয়া। এভাবেই চলতে থাকুক, আঁকতে থাকুক নেট ফড়িং
ও তার ফড়িং কথা...।
0 comments:
Post a Comment