শেষ টেলিফোন
আগুনপাখি
টেলিফোন টা বেজে উঠলো,
ক্রিং ক্রিং
"হ্যালো"
"হ্যালো বাবা কেমন আছো?"
"বাবু তুই! কত্তদিন পর ফোন করলি। কেমন আছিস? কবে ফিরবি বাড়ি?"
"ঠিক ই আছি। জানো বাবা সেই কবে থেকে ছুটির জন্য আবেদন করছিলাম। অবশেষে
পেলাম। পরশু বাড়ি ফিরছি।"
"তাই তাই! আয় রে দু বছরের ওপর হয়ে গেল বাড়ি ফিরিসনি।"
"হ্যাঁ বাবা এবার বাড়ি যাবো। অনেক কাজ পরে আছে। ভাবছি এবার বাড়িতে
ছাদ টার মেরামত করবো। আরো একটা ছোট ঘর বানাবো পেছনের দিকটায়। তোমাকেও এবার একজন ভালো
হার্ট স্পেশালিস্ট দেখাবো। অনেক কাজ পরে আছে বাবা। অনেক কাজ। মা কোথায় গো?"
"এই নে মায়ের সাথে কথা বল।"
"হ্যালো বাবু, কেমন আছিস বাবা?"
"ভালো আছি মা। তুমি চিন্তা কোরোনা। বাড়ি আসছি খুব তাড়াতাড়ি। প্রিয়া
কেমন আছে?"
"ও ভালোই আছে। কথা বলবি ওর সাথে?"
হেমান্ত দাস বাস রেডি। আমাদের বের হতে হবে।
"মা এখন রাখছি। পরে কথা হবে।"
না আর কথা হয়নি। বাড়ি ও ফেরা হয়নি। পরদিন সকালে দু বছর পর ছেলের মুখ দেখতে
হয়েছিল টিভির পর্দায়। পুলওয়ামায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত ভারতীয় সেনা হেমন্ত দাস।
0 comments:
Post a Comment