সমবয়স্ক
নাজেস মাহমুদ
সম্পর্কটা প্রায় চার বছর হতে চললো । সেই ক্লাস ইলেভেন থেকে অনেক বাধা বিপত্তির পরেও আজ ওরা একসাথে । আগের
মত দেখা হয় না , কথাও অনেক কম হয়। মাঝখানে
অনেক ঝগড়া হয়েছে, বেশ কয়েকবার ব্রেক-আপও
হয়েছে । কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য টানে
একসাথে থেকে গেছে ওরা । ঝগড়া হলে চোখ ফুলত দুজনেরই , কিন্তু অভিমান করে কেউই দুর্বলতা প্রকাশ করত না । ঝগড়াগুলো
লাগতও কিছু তুচ্ছ কারণে । পল একদমই বিদ্যার কোনো ছেলে বন্ধুর সাথে কথা বলা পছন্দ
করতো না, ওর সাজগোজ করা পছন্দ করতো
না । দু’জনের যে আলাদা কলেজ । পল
শুধুই ভাবত ওর বউটা সাজবে কিন্তু ও দেখতেই পাবে না । বিদ্যা ওর সরল মনে কিছু খারাপ
না ভেবে সবার সাথেই কথা বলে । প্রথম প্রথম ঝগড়া হলে পলই ফোন করতো, কত কিছু বলে ঝগড়াটা মিটিয়ে নিত । কিন্তু ধীরে ধীরে সময়
চলে যায়, পল অনুভব করে ওর কাঁধের
দায়িত্বগুলো । শুধু সময়ের চাপে পড়েই সম্পর্কটাকে ওর ভরসার পাত্রীর হাতে তুলে
দেয় । ধীরে ধীরে দূরত্ব বারে, কিন্তু কোথাও
এতকিছুর মাঝেও মনের মাঝে থেকে যায় অটুট ভালোবাসা। বিদ্যার বাড়িতে বিয়ের আলাপ
চলতে থাকে , এদিকে পল পাগলের মত
খুঁজতে শুরু করে একটা চাকরি । এখন দুজনেই মিস করে সেই রাত জাগা শেষ না হওয়া গল্প
গুলো । এখন হয়ত পল আর আগের মত বিদ্যার কলেজের খোঁজ রাখে না , খোঁজ ও করে না ও কোন ড্রেস টা পড়ে কলেজ গেলো । সদ্য যুবতী
হয়ে ওঠা বিদ্যা এখন ওর ফেসবুক পাসওয়ার্ড নিয়েও খুব সচেতন হয়ে যায় । পল এখন আর
চাইলেই ঘুরে আসতে পারে না বিদ্যার চ্যাট লিস্টে, মনের মাঝেই গুমরে গুমরে মরে। পল যে খুব ভয় পায়, যদি ঝগড়া করে বিদ্যা আবার আগের মত দুদিন কথা না বলে । হ্যাঁ,
এখনও পলের আগের মতোই কষ্ট হয়, আগের মতই বিদ্যাকে কাছে পেতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু বাধা শুধু
সময় । একটা চাকরি না পেলে বিদ্যার যে অন্য কোথাও বিয়ে হবে ।
0 comments:
Post a Comment