লেখকের চোখে নেট ফড়িং
লিখেছেন- নীলাদ্রি
দেব
নেট ফড়িং,
একটি আলোর নাম -
ভারতে ইন্টারনেটের আত্মপ্রকাশের
প্রায় আড়াই দশক পেরিয়ে গেল। এই বছর পঁচিশের মধ্যে প্রযুক্তি প্রতিটি সেকেণ্ডে, প্রতিটি মুহূর্তে উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে. প্রযুক্তিকে
কাজে লাগিয়ে শিক্ষা থেকে সাহিত্য, চারপাশে ছড়িয়ে
থাকা প্রতিটি ক্ষেত্র একটি নতুন দিশার দিকে এগিয়ে চলেছে। যে কোনো বিষয় চর্চা এবং
প্রসারের পরিধি যেভাবে বিস্তৃত হয়েছে এবং হচ্ছে, তা অভাবনীয়। ঠিক এমনই এক আলোর ভেতর দাঁড়িয়ে বিভিন্ন অন্ধকারকে মুখোমুখি
যুঝে নিতে হচ্ছে। প্রাককথনে এত ভনিতা হয়তো মানানসই নয়, তবু বলতেই হয়, নেটদুনিয়ায় দাঁড়িয়ে 'নেটফড়িং' একটি অনন্য উচ্চারণ। যার বৃত্তের ভেতর সৃষ্টির সম্ভার। লেখক
ও পাঠক হিসেবে এর সাথে জড়িয়ে থেকে অনুভব করেছি এর আন্তরিকতা। প্রথম যখন লিখেছিলাম, আজ যখন লিখছি... উত্তাপটা একই রকম। নিয়মিত, ধারাবাহিক চর্চাকে কুর্ণিশ জানাতেই হয়। আর তা যদি প্রান্তিক
এক শহরে বসে দাপটের সাথে হয়, তাহলে তার প্রতি
শ্রদ্ধাবোধও জাগে. অভিনবত্ব আর অধ্যাবসায়... এও নেটফড়িং এর সম্পদ। তরুণ প্রজন্মের
কত লেখককে স্পেস দিচ্ছে এই পত্রিকা, তা বিস্মিত করে। আসলে এগুলোই উৎসাহ, অক্সিজেন। এই প্ল্যাটফর্ম কাজকে গঠনমূলক দিকে নিয়ে যাবে, নিউক্লিয়ার সময়েও সমবেত বাঁচতে শেখাবে, চর্চায় রাখবে, পুষ্ট করবে জ্ঞান ও বোধকে এবং তা করছেও। এটাই তো আমাদের অনেকের চাওয়া. মানসিক
সুস্থতা,
যৌথতা এসবই সৃষ্টিসুখের সমান্তরালে, বাকি সব মিথ্যে। আলো, গদি,
মঞ্চ, মাইক... সব। যারা
বিশ্বাস করেন রিপুর বিপরীতেও স্রোত আছে, খালি চোখে দেখা প্রতিদিনের জীবনের বিপরীতেও স্রোত আছে, তাদের জন্য উল্লাস। এই উল্লাসের তীব্রতা আছে বলেই এখনও ফুল
ফোটে,
পাখি গায়। ফড়িং উড়ে বেড়ায়। যখন অন্তর্জালে এসে বসে... আমরা
মুগ্ধতা আঁকি।
0 comments:
Post a Comment