পারদ (সব খুন খুন নয়)
আরিঞ্জয় ওয়াহিদ (আবু)
পর্ব-১
মানুষ মৃত্যুর পর কোথায় যায়
রাত্রি তখন ১২টা বাজতে ১০ মিনিট বাকি, উত্তরের জানালাটা খোলা,আকাশে মেঘ
তারার সাথে আলিঙ্গন করছে বৃষ্টি নামাবে বলে,মাঝে মাঝে দূর থেকে ভেসে আসছে বাতাসের কলতান।
বালিশে হেলান দিয়ে একটানা ঘন্টা খানেক ধরে মোবাইলটা স্ক্রল করে যাচ্ছে অরি,
চোখটা জাস্ট লেগে যাচ্ছিল মোবাইলের ডাটাটা অফ করে ঘুমোতে যাবে ঠিক এমন সময় মোবাইলের
স্ক্রিনে হালকা আওয়াজে ভেসে উঠল একটা মেসেজ-'হাই'
বুড়ো আঙুলে মেসেজটা খুলতেই -দেখল নাম- স্মিতা রায়' অরি উত্তর দিলো- 'হম!কে
বলছেন'
-কেন facebook এ নাম দেখায় না বুঝি'
-হম । কিন্তু কে আপনি?
-পরিচয় হতেই তো টেক্সট করলাম ।
-আচ্ছা ! বলুন।
-একটা কথা বলবে !
-কি।
-মানুষ মৃত্যুর পর কোথায় যায় ?
-মানে। কিছু বুঝলাম না কি বলতে চাইছেন ।
(এর পর আর কোনো Repaly এল না ফোনের ওপার থেকে)
অরি অনেক্ষন চিন্তা করতে করতে মোবাইলটা রেখে ঘুমোনোর চেষ্টা করলেও কিছুতেই
আর ঘুমোতে পারছিল না , তার চোখের সামনে সেই লেখাটাই ভেসে আসছে বার বার-'আচ্ছা মানুষ
মৃত্যুর পর কোথায় যায়' !
হঠাৎ হুড় মুড়িয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে মোবাইলটা হাতে নিয়ে সে মেয়েটার
profile ঘাটতে শুরু করল তারপর যা দেখল তা দেখে সে অবাক ,
আরে এটাতো 'রিয়া'...!
রিয়া অরিত্রের মানে অরির প্রাক্তন প্রেমিকা, স্কুল জীবন থেকেই পরিচয় পরে
ধীরে ধীরে সেটা সম্পর্কের রূপ পায় যদিও রিয়া প্রথমের দিকে অন্য কারোর সাথে সম্পর্কে
থাকার জন্য অরির সাথে ওর সম্পর্কটা বন্ধুত্বের ছিল কিন্তু পরবর্তীতে কোনো কারণে ছেলেটা
তার সঙ্গ ছাড়লে রিয়ার প্রতিটি মন খারাপের রাতে অরিই ছিল শেষ সম্বল আর এভাবেই তা পরে
সম্পর্কের রূপ নেয় ।
কলেজ জীবনের পরবর্তীতে বেকার অসহায় গরিব অরিত্রের সাথে সম্পর্কটা মেনে নিতে
চায়নি রিয়ার বাবা, আর তার জেরেই সম্পর্কের বিয়গ। বিয়ের ৩ বছরের মাথায় একদিন খবর পেয়েছিল
অরি যে কিছু একটা মেয়ে ঘটিত রোগের কারণে রিয়া মারা যায় ।
সেদিন একাকাশ মন খারাপ নিয়ে তারা ভরা আকাশের দিকে চেয়ে রাত কেটেছিল তার
।
আসলে সম্পর্ক বড়ো কঠিন রোগ, একবার জড়িয়ে গেলে সারানোর ওষুধ খোঁজা দুষ্প্রাপ্য।
সম্পর্কের যোগে অধিকার, বিয়োগে অনাধিকার, তাই হয়ত ছেড়ে আসার পর সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত
হয়েছিল সে । কিন্তু সেটা বিশ বছর আগের ঘটনা তাহলে আজ হঠাৎ ওর ফেসবুক একাউন্ট থেকে
sms করল কে ?
এমন সময় দানবের চিৎকারের মতো আওয়াজ করে আকাশ ধেঁয়ে তুমুল বেগে বৃষ্টি নামল
। জানালার পাল্লা হওয়ার বেগে দেওয়ালে আছার খেয়ে ফিরে ফিরে যাচ্ছে, ঠিক জানালার সামনেই
রাখা চেয়ারটায় বসে সেই পঁচিশ বছর আগেকার কুড়ি বছরের রিয়ার প্রেমে মাতাল হয়ে অরি যেন
পৃথিবীর সব কিছু ভুলে তাতেই মগ্ন হয়ে পড়ে রইল ।
পর্ব-২
সুইসাইড নোট
আকাশটা আজ বড্ড পরিস্কার,ঠিক যেন সদ্যস্নাত কোনো নারী খোলাচুলে রোদে কাপড়
মেলছে। পূর্বের আকাশটা লাল হয়ে কিছুটা ছটা দর্জার ভাঁজে দাঁড়িয়ে।
বাইরে গলিতে সব্জি ওয়ালার চিৎকার আর পেপার ওয়ালার সাইকেলের বেলের আওয়াজে
ঘুম ভেঙে গেল অরির ।
এমন সময় দর্জার ওপার থেকে কথা বলতে বলতে ভিতরে প্রবেশ করল মণি।
-কি গো দিন দিন বয়স যেনো কমছে তোমার,রাত জাগার অভ্যাসটা এখন গেল না ।
টেবিলের উপর চায়ের কাপটা রেখে মনি বলল- রাতে মেডিসিন নিয়েছ ? উত্তরে অরি
বলল-মন খারাপের যন্ত্রণা কি আর মেডিসিনে সাড়ে ! কটা বাজে ?
-সাতটা কুড়ি,কাল রাতে নীলুদার মেয়েটা সুইসাইড করে মারা গেছে ?
-নিলুদার মেয়ে মানে আমাদের তনয়ের সাথে যে মেয়েটা পড়ে ?
- হুম, গলায় ফাঁস ঝুলিয়ে, এই যুগের ছেলে-মেয়ে গুলো মাইরি যাচ্ছে তা, জানতিস
ছেলেটা ভালো নয় মুখ কালা করার আগে একবার ও ভাবলি না, নিজে মরল আর এখন বাপ মাকে তার
পাপ বইতে হবে, আমি এ জন্য বাবুকে বলেছিলাম ওসব মেয়ের সাথে না ঘুরতে, কে শোনে কার কথা।
বিছানার চাদরটা ঠিক করতে করতে মনি আবার বলল-এখনকার ছেলে-মেয়েদের তো স্বাধীনতা
চাই, এই হল স্বাধীনতার হাল ।
অরি চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে চুমুক দিতে দিতে বলল
-আচ্ছা মনি মানুষ মৃত্যুর পর কোথায় যায় ।
অর্ধেক মেলানো চাদরে হাত ঝাপড়াতে ঝাপড়াতে হঠাৎ থেমে মনি বলল-এই জন্যই বলি
রাতে পিল নিতে, বুদ্ধি শুদ্ধি লোভ পাচ্ছে তোমার দিন দিন- মানুষ মরলে কোথায় যায় জানোনা
?
-কোথায়? অরি বলল ।
-অবশ্যই ভগবানের কাছে,বাচ্চাদের মতো কথা
বলছ কেন ?
-ওহ তাইতো । সুইসাইডের কারণ তাহলে ছেলে সম্পর্ক ঘটিত ।
-তাছাড়া আর কি হবে। ওই যে ছেলেটা মাঝে মাঝে বাইকে করে নামিয়ে দিয়ে যায় ।
সিগারেটের প্যাকেটটা থেকে একটা সিগারেট বের করে ধরিয়ে প্যাকেটটা টেবিলের
উপর ছুঁড়ে ফেলে অরি বলল-
-সে তো বন্ধুও হতে পারে !
অরির সদ্য ফুরিয়ে আসা চায়ের কাপটা হাতে নিতে নিতে মনি বলল-বন্ধু না ছাই,
তুমি সব জায়গাকে নিজের কোর্ট ভাবাটা বন্ধ করো, লোকে বলাবলি করছিল "He also
threatened to baby abort"ভাবো একবার, আমরা কোন যুগে এসে পৌঁছেছি ।
-হম সেটাই । পুলিশ এসেছিল ?
-হ্যাঁ পুলিশ এসেই তো দর্জা ভেঙে বডিটা বের করল ।
- কি বলল ?
- ওওদের মধ্যে একজন বলাবলি করছিল যে প্রি-প্ল্যানিং মার্ডার।
এই বলে মনি চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে রুম থেকে বেড়োতে বেড়োতে বলল-তাড়াতাড়ি
ফ্রেস হয়ে নিচে আসো, মাসি আসেনি ব্রেকফাস্ট সেরে বাজারে যেতে হবে, ঘরে আলু ছাড়া কোনো
কাঁচা সবজি নেই ।
চেয়ার থেকে উঠে খোলা জানালার পাল্লাটা আরো ভালো করে বাইরের দিকে ঠেলে দিয়ে
নিলুদার বাড়ির দিকে তাকাল অরি, জনা বিশেক লোক
উঠনে ভিড় করে, নিলুদা করিডোরে মাথা
ঠেকিয়ে বসে, উঠনের সামনের রাস্তাটায় একটি এম্বুলেন্স
দাঁড়িয়ে ।
ঘর থেকে বেরিয়ে ধীরে ধীরে নীলুর বাড়ির দিকে এগিয়ে গেল সে,পুলিশ ততক্ষণে
বডি গাড়িতে তুলেছে।
অরি দেখল তার পরিচিত ইন্সপেক্টর দীপঙ্কর বাবু এসেছেন inspection এ। অরিত্রকে
দেখে দীপঙ্কর বাবু এগিয়ে এসে বলল- কি অরিত্রদা বাড়ির পাশে এতবড়ো ঘটনা ঘটে গেল আপনি
এতক্ষনে...!
অরি ততক্ষণে নিলুর পাশে গিয়ে বসে নিলুর হাতে হাতটা রেখে ইন্সপেক্টরকে উদ্দেশ্য
করে বলল-
কি বুঝলেন ?
-সে রকম কিছু না।প্রাথমিক ধারণা তো সুইসাইড।
মোবাইলটা অরির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে ইন্সপেক্টর বলল-দেখুন তো আপনি কিছু আন্দাজ
করতে পারেন কি না ।
-মোবাইল খুললেন কি ভাবে ?
-No more privacy মনে হচ্ছে sms টা দেখানোর জন্যই খোলা রাখা হয়েছে ।
অরি হাত বাড়িয়ে মোবাইল নিয়ে sms টি পড়তে লাগল যা নিম্নরূপ-
||"মানুষ মৃত্যুর পর কোথায় যায় জানিনা,
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করলাম।
আমি দেখতে চাই মৃত্যুর পথ কতটা প্রসর,
আশাকরি মৃত্য তোমার থেকে বেশি কষ্টের হবে না,
আমি চললাম,তোমাকেও একদিন আসতে হবে "||
Sms টা পড়ার পর নিজেকে সামলাতে পারলনা অরি,
তড়িঘড়ি মোবাইলটা দীপংকর বাবুর হাতে দিয়ে নিজের ঘরের দিকে ছুটলেন তিনি ।
অরি চলে যাওয়ার মিনিট দুয়েকের মধ্যে দীপঙ্কর বাবু বডি নিয়ে চলে গেলেন। ঘরে
এসে নিজের ফোনে messenger খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ । কালকের সেই নম্বর থেকে আবার
sms....
"আতঙ্কিত হবেন না মৃত্যুকে উপভোগ করুন"
পর্ব-৩
খুনির সন্ধানে
আজ অনেকদিন পর একা ছাদে বসে মদ খাচ্ছে অরি, রিয়াকে বলিয়ে বাজার থেকে নিয়ে
আসা খাসির তেলের পাকোড়া সাথে । যদিও ডাঃ বলেছে এই বয়সে এই সব ইগনোর করতে, মনি প্রথমের দিকে খেতে দিতে চাইত না পরে অনেক কষ্টে তাকে মানিয়েছে
অরি ।
ছাদের থেকে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে সেই
আলোচিত মেসেঞ্জার এর সাথে রিয়ার মৃত্যুর সম্পর্ক খুঁজতে লাগল সে । উকিল হওয়ার দৌলতে
জীবনে অনেক কেস এর সমাধান করলেও আজ জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে এই ঘটনাটার কোনো কুল খুঁজে
পাচ্ছে না সে ।।
বাবা আসবো.....!
মদের গ্লাসটা টেবিলে রেখে পিছনে তাকিয়ে অরি দেখল তনয় ।
-হুম আয় । অরি বলল ।
-আজ হঠাৎ,মন খারাপ নাকি । অরির সামনে থাকা টেবিলের ওপারের চেয়ারটায় বসতে
বসতে বলল তনয়।
-না আজ হঠাৎ খেতে ইচ্ছে করল তাই ।
-খেতে ইচ্ছে করল নাকি পাপের প্রায়চিত্ত করার চেষ্টা করছ ।
-মানে । কি বলতে চাস । গ্লাসে জল ঢালতে ঢালতে বলল অরি ।
-বাবা তুমি ভুলে যাচ্ছ যে আমিও একজন উকিলের ছেলে । তোমার চোখ আজ মিথ্যা
বলছে ।
-মিথ্যা বলছে মানে । কি বলতে চাস তুই , তুই তোর বাবাকে সন্দেহ করছিস ।
-অর্ধেক খাওয়া মদের গ্লাসটা অরির
নাগালের বাইরে সরিয়ে তনয় বলল-স্মিতাকে তুমি
চেনো ।
-চোখ গোল পাকিয়ে তনয়ের দিকে তাকিয়ে রইল অরি!
-স্মিতা তোমার মেয়ে বাবা আর আমার...! পুরো কথাটা শেষ করতে পারলনা তনয়।
বেশ বড়ো একটা নিশ্বাস নিয়ে অনেকটা উঁচু গলায় অরি বলল-
-মানে । কি বলছিস তুই , কে স্মিতা, কিসের মেয়ে ।
মদের গ্লাসটা অরির দিকে ঠেলে দিয়ে তনয় বলল-
মানুষ কতটা চরিত্রহীন হলে নিজের বোনের সাথে বেড shere করে বাবা ।
নিজেকে যথেষ্ট সামলে নিয়ে অরি বলল - কি হয়েছে খুলে বলবি ।
ধীরে ধীরে নিজের শরীরটা চেয়ারে ছাড়তে ছাড়তে তনয় বলল-
তোমার প্রাক্তন বান্ধবী রিয়া অসুখে মরেনি বাবা, সে সুইসাইড করেছে তার কারণ
তুমি ! তুমি হয়ত জানোনা বাবা তোমার প্রাক্তন বান্ধবী তোমার ২মাসের বেবি পেটে নিয়ে বিয়েতে
বসেছিল- বিয়ের ছ-মাসের মাথায় সব জানা জানি হয়ে গেলে তোমার বান্ধবীকে শশুর বাড়ি থেকে
তাড়িয়ে দেয় । স্মিতার জন্ম হয় তোমার বান্ধবীর বাপের বাড়িতে,স্মিতার জন্মের 2 বছর পর
ওর দাদু মারা যায়, আর তার 1 বছরের মাথায় মানসিক অবসাধে
নিজেকে মেরে ফেলে তোমার বান্ধবী যে মৃত্যুর জন্য তুমি দায়ী বাবা ! তুমি একটা খুনি...এই
বলে কাঁদতে শুরু করল তনয়।
মিনিট পাঁচেকের জন্য সব যেন অন্ধকার হয়ে আসল অরির চোখের সামনে, এক মুহূর্তে
জীবনের সব হিসেব যেন গুলিয়ে ফেলল সে । এত বড় ভুল হয়েছে তার দ্বারা তনয় এসব জানল কি
ভাবে কার কাছে....!
তুই মিথ্যা বলছিস না তো!-অরি বলল ।
- পৃথিবীটা গোল বাবা । হাজার মানুষের ভিড়েও আমরা মানুষ খুবই অল্প সংখ্যক
। তুমি জানতে চাইবে না তোমার মেয়ে কোথায় তার সাথে আমার কি সম্পর্ক ।
- হ্যাঁ !
-নিলুদার মেয়ে বাবলিকে চেনো , ও তোমার মেয়ে ।
তোমার বান্ধবী মারা যাওয়ার পর নিলুদা ওকে দত্তক নেয় ।
অরি শুধু তাকিয়ে আছে তনয়ের দিকে তার চোখ দিয়ে অঝোরে জল ঝরছে শুধু, যে অশ্রুর
কোনো শব্দ নেই, অভিমানও নেই আছে অনেকগুলো আক্ষেপ ও হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা ।
চেয়ার থেকে উঠে ছাদের কার্নিশ ঘেঁষে মুখটা বাইরের দিকে ঝুঁকে অরি বলল-
আর বাবলি মানে স্মিতার বলতে পারো তোমার সেই মেয়ে মানে আমার বোনের সঙ্গে
চার বছরের সম্পর্ক ছিল আমার ।
পিঠ ঘুরিয়ে দ্রুত হেঁটে অরির পায়ের কাছে মাথা গেড়ে তনয় বলল- আমি কি করব
বাবা আমরা সব সত্যতা জানার পর নিজেদের ক্ষমা করতে পারিনি,তার পরেও বাবলি আমার সন্তানের
মা হতে চায় -তাই আমি
বাবলিকে খুন করেছি বাবা, তোমার পঁচিশ বছর আগে করে আসা ভুলের শাস্তি আজ আমাদের
পেতে হল, কারন আমি আমার বোনের সন্তানের বাবা হতে পারব না ।
বাবলির মোবাইলের sms গুলো আর আমাকে সেই numbar থেকে sms গুলো কে করে ছিল...
-আমি.....তনয় বলল-
- মানে ওই সুইসাইড sms গুলো তোর লেখা ।
- হুম বাবা সেই sms গুলোর অর্থ আর একটু পর নিজেই বুঝতে পারবে ।
-তাহলে আমাকে sms করেছিস কেন ।
-সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ।।
এই বলে টেবিলের উপর একটা ছোট্ট চিরকুট রেখে
তনয় আবার ছাদের কার্নিশের দিকে চলে গেল...
চিরকুটটা খুলে অরি পড়তে লাগল...
||"সব খুন খুন নয় বাবা । কিছু খুন প্রায়চিত্তও করে,
তুমি খুন করেছো আর আমি প্রায়চিত্ত করলাম।
তুমি মৃত্যুকে উপভোগ করো.... তোমার বান্ধবীর,তোমার মেয়ের আর তোমার............||
হঠাৎ ছাদ থেকে ভারী কিছু সজোরে নিজে পড়ার আওয়াজ পেল অরি,নিচে থেকে রিয়া
চেঁচিয়ে উঠে কান্না শুরু করল---"ও মা গো এ কি সব্বনাশ হল গো আমার ।।
0 comments:
Post a Comment