লেখকের চোখে নেট ফড়িং
লিখেছেন- দেবদর্শন চন্দ
স্বভাবতই পুরোনো স্মৃতি আমাদের প্রত্যেককেই নস্টালজিক
করে তোলে। এই পত্রিকাটিও আমার কাছে তাই। প্রথমদিন থেকে বেশ কিছুটা পথ পত্রিকার সাথে
জড়িয়ে থাকার সুযোগ হয়েছে আমার। সান্নিধ্য পেয়েছিলাম কোচবিহার সহ বিভিন্ন জায়গার একঝাঁক
তরুণ তুর্কি এবং পাকা হাতের লেখকদেরও। একটা কথা না বললেই নয়। বহু ছোট-বড় বাধা অতিক্রম
করে আজ চৌমাথায় দাঁড়িয়ে নেট ফড়িং। লেভেল ক্রসিং পেরোলেই আবার ছুটতে প্রস্তুত। তবে এতটা
পথ একা চলা মোটেই সহজ নয়, কারোপক্ষেই। শুরুতেই কোনো পত্রিকার যাত্রাপথ এতটাও সহজ থাকে
না। নেট ফড়িং-ও তার ব্যতিক্রম নয়। দিনের পর দিন যত্ন করে একটা ছোট শিশুকে বড়ো করে তোলেন
অভিভাবকরাই। পত্রিকার কাছের মানুষগুলোর ভালোবাসা আগামীর যাত্রাপথে গোলাপসম। শুরুতে
অনলাইন ম্যাগাজিন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে নেটফড়িং। এরপর অনলাইনের পাশাপাশি এসেছে মুদ্রণ
সংখ্যাও। লিটল ম্যাগকে অন্যরূপে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে দিনরাত প্রয়াস চালাচ্ছেন সম্পাদকমন্ডলী।
তাদের প্রতি রইলো কৃতজ্ঞতা। বর্তমানে পত্রিকার গঠনশৈলীতে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন।
শুধু লেখক বা লেখিকারাই নয়। ছবি আঁকা হোক কিংবা ছবি তোলা, সকলের কাছেই নেট ফড়িং যেন
'হাত বাড়ালেই বন্ধু'। গ্রিক শব্দ নসটস(বাড়ী ফেরা) ও আলজিয়া (প্রত্যাশা) থেকেই নস্টালজিয়া
শব্দের উৎপত্তি। নস্টালজিয়া বলতে সুখের স্মৃতি রোমন্থন, স্মৃতি মনে করে সেই পুরোনোতে
ফিরে যেতে চাওয়া। কলম যত এগোচ্ছে ততই পুরোনো দিনগুলো অনেকটাই কাছের বলে মনে হচ্ছে।
সবটা মিলিয়ে একটা ভালো লাগার অনুভূতি। পুরোনো বন্ধু, পুরোনো মানুষ, পত্রিকা এমনকি শুরুতে
একসাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাগুলিও আজ মনে পড়ছে ভীষণভাবে। আজ ২০০ সংখ্যার দোরগোড়ায় নেট
ফড়িং। কোচবিহার থেকে বাংলাদেশ তো বটেই, সারা বিশ্বের বহু মানুষের ভালোবাসায় আজ সমাদৃত
পত্রিকাটি। সর্বোপরি, প্রত্যেকের কাছেই নেট ফড়িং উৎসাহের আশ্রয়। উঁচুতে পৌঁছবার শেষের
আগের ধাপ। এভাবেই এগিয়ে যাক নেট ফড়িং। টিম নেট ফড়িং এর জন্যেও রইলো একরাশ শুভেচ্ছা
ও ভালোবাসা।
0 comments:
Post a Comment