লেখকের চোখে নেট ফড়িং
লিখেছেন- জাহাঙ্গীর হোসেন
তখন কলম ধরার অদম্য ইচ্ছা মনের মধ্যে। মাথায় কিলবিল করে হাজারো শব্দ, তাদের
কে একসাথে জুড়ে দিলেই হয়ে ওঠে গল্প, কবিতা কিংবা আরও কতো কি ! মনে যা আসে তাই লিখে
ফেলতে ইচ্ছে করে, আর সে ইচ্ছেতে বাঁধা দেওয়ায় মতো কেউ নেই বলেই রাতের পর রাত জেগে
ডায়েরির পাতায় সীমাবদ্ধ হতে থাকলো অসংখ্য কালো অক্ষরের মেলবন্ধন।
সেই লেখাগুলো ধীরে ধীরে মনের মধ্যে বোঝ হয়ে উঠতে লাগলো এবং মনের বোঝ হালকা
করার সবচেয়ে উত্তম উপায় খুঁজতে লাগলাম দিনরাত। এক বন্ধু একদিন, বাড়িতে এসে ডায়েরির
পাতাগুলো উল্টেপাল্টে দেখে, সেগুলো কে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার জন্য বলতে লাগলো।
তারপর থেকে ধীরে ধীরে লেখা রুপান্তরিত হতে শুরু হলো ডায়েরির থেকে ফেসবুকের পাতায়।
ফেসবুকে লেখার ফলে পাঠক বাড়তে শুরু করেছে তখন। হঠাৎ লতিফ (কলেজের বন্ধু)
আমাকে বললো – ‘‘ভাই তুই তো সুন্দর লিখিস, একটা অনলাইন ম্যাগাজিন আছে ‘নেটফড়িং’ নামে,
কোচবিহার থেকে প্রকাশিত হয়।’ সাথে জুড়ে দিলো "নেটফড়িং লেখক সমাবেশ" হোয়াটসঅ্যাপ
গ্ৰুপের জয়েনিং লিঙ্ক দিয়ে। তখন "নেটফড়িং"-এর ১৮তম সংখ্যা চলছে। সেখানেই
ধীরে ধীরে কথা হয় সম্পাদক বিক্রম শীল দাদার সাথে। তারপর থেকে আমার লেখা প্রায়শই প্রকাশিত
হতে থাকে নেটফড়িং -এ। আরো পরিচিতি বাড়ে "ফড়িং আড্ডা"র মাধ্যমে। এখানেই
খুঁজে পাই অনেক নতুন লেখক-লেখিকা বন্ধুকে। যেমন- মল্লিকা দাস, প্রিয়াঙ্কা বর্মণ, সাহানুর
হক ও আরও অনেকে। তখন নেটফড়িং ছোট্ট একটি গাছ ছিল, আর সেই ছোট্ট নেটফড়িং এর হাত ধরেই
আমার লেখালেখি জীবনের হাতেখড়ি। দেখতে দেখতে আজ সেই ছোট্ট নেটফড়িং বটবৃক্ষে পরিণত
হয়েছে, সম্পাদক বিক্রম শীল দাদার হাত ধরে।
0 comments:
Post a Comment