Dec 5, 2020

"বড়োদেবীর সেকাল থেকে একাল' - পার্থ দেব (পাপান)

Edit Posted by with No comments

 


বড়োদেবীর সেকাল থেকে একাল

পার্থ দেব (পাপান)

 

কোচবিহার রাজ্যের সূচনাকাল থেকেই দুর্গাপূজার বিষয়ে তথ্য পেয়ে থাকি। এই রাজ্যে প্রথম পূজা বিষয়ে কাহিনীটি বিশেষ প্রচলিত। "রাজোপাখ্যান" মতে দেখা যায় যে বিশ্বসিংহের যখন বয়স মাত্র ন বছর সেই সময় বিশু, শিশু, চন্দন, মদন চার ভাই সহ অন্যান্য তেরো জন বালক একত্রে খেলাধুলা করছিলেন, খেলাচ্ছলে শুকনো বাঁশের কঞ্চি এবং বিশুর হাতে থাকা শুকনো ময়না গাছের ডাল একত্র করে একস্থানে পুঁতে দিয়ে দেবী দুর্গা কল্পনা করে বনফুল এবং ফল ইত্যাদি এনে ভগবতীর পূজা করতে লাগলেন। সঙ্গীদের মধ্যে কেউ-কেউ নৃত্য, গান আরম্ভ করলেন। এই আনন্দময় মুহুর্তে দেবীর কাছে বলির কথা চিন্তা করে এক বালককে শিশু কল্পিত যূপ কাঠের পাঁঠার ন্যায় ধরলে ও বিশু কুশের খড়গ দিয়ে "ভগবতী বলি গ্রহণ করো" এই বলে আঘাত করা মাত্রই সত্যি সত্যিই সেই বালকটির শিরচ্ছেদ হয়ে রক্ত বইতে আরম্ভ করলো। এই ঘটনা দেখে সবাই আশ্চর্যান্বিত হলো। বিশু তৎক্ষণাৎ ঐ ছিন্ন শির আপন মস্তকে ধারণ করে ভক্তি ভরে ভগবতীর সন্মুখে দিলেন। অন্যান্য বালকগণ বিশু-শিশু এক বালককে হত্যা করেছে বলে চিৎকার করতে করতে পালিয়ে গেলো, এসব দেখে বিশু ও শিশু গভীর বনপথে চলে যায়। পথ চলতে চলতে পরিশ্রান্ত ভাতৃদ্বয় বনমধ্যে নিদ্রাচ্ছন্ন গেলে বিশু স্বপ্নাদিষ্ট হন দেবী তার পূজায় সন্তুষ্ট। তাদের আর কোনও ভয় নেই, দেবী ভগবতী বিশু-শিশুকে অভয় প্রদান করে বলেন যে স্থানে তোমরা পূজো করেছো সেস্থানে গিয়ে দেখবে আমার কৃপায় বাঁশের কঞ্চি এবং ময়না কাঠ নতুন পাতায় সুশোভিত হয়েছে তৎসহ এ স্থানে তোমরা আমার হাতের কঙ্কন ও তীক্ষ্ণ খড়গ পাবে, এমন ভাবেই ভগবতী তাদের আশীর্বাদ দিয়েছেন। এই ঘটনাকে অনেকেই কোচবিহারের প্রথম দুর্গাপূজা বলে মনে করেন। জয়নাথ মুন্সীর রাজোপাখ্যানে দেবী পূজার কথা বলা থাকলেও দেবী প্রতিমার কথা নেই। অনেকে মনে করেন বর্তমানে মদনমোহন বাড়ীতে ভবানী মন্দিরে রূপোর সিংহাসনে যে অষ্টধাতুর ভবানী দেবীর বিগ্ৰহটি আছেন তা মহারাজা হরেন্দ্র নারায়ণের রাজত্বকালে নির্মিত এবং প্রতিষ্ঠিত। কোচবিহারের রাজাদের স্বপ্নে প্রাপ্ত রূপ সেখানে ফুটে উঠেছে। বর্তমানে দেবীবাড়ীতে এই আদলেই প্রতি বছর দেবী প্রতিমা তৈরী করে বার্ষিক পূজার ব্যবস্থা করা হয় আর মদনমোহন বাড়ীতে ভবানী মন্দিরে ছোট ভবানী বিগ্ৰহের নিত্য পূজার ব্যবস্থা রয়েছে। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এই মূর্তির নীচেই রয়েছে কালো পাথরের একটি মূর্তি আকারে ছোট, অনেকের মতে অরণ্যে আত্মগোপনকালে দশভূজা দেবী খোদিত এই প্রস্তর বিগ্ৰহটি কুড়িয়ে পান। এই মূর্তিটিকে "পাট পার্ব্বতী" বলেন।

কোচবিহারে দেবী পূজার বিষয়ে আর একটি মত হলো ময়না কাঠকে দেবী কল্পনা করে বিশু সর্বপ্রথম পূজা করেন,সেই থেকেই ময়না কাঠে দেবীর অবস্থান কল্পনা করে পূজায় ময়না কাঠের শক্তি গোজ নিয়মিত ব্যবহার করা হয়।

কোচবিহারে দেবী তত্ত্ব বিষয়ে আরও একটি ঘটনা উল্লেখ করতে চাই মহারাজা নরনারায়ণের রাজত্বকালে বীর সেনাপতি ভাই শুক্লধ্বজের (চিলারায়) সহায়তায় রাজ্যসীমা ক্রমশ বেড়েই চলেছেন। মহারাজা পরম সুখে রাজত্ব করছেন। এমন সময় একদিন শুক্লধ্বজের ভাবলেন যে রাজ্য শাসন আমি করি,যুদ্ধ উপস্থিত হলে আমি যুদ্ধ করি, সকল আমার অধীন। নরনারায়ণ নামমাত্র রাজা, আমি তাকে বিনষ্ট করে নিজে রাজা হবো। এরূপ চিন্তা করে উন্মুক্ত তীক্ষ্ণ তরবারি হাতে করে রাতের অন্ধকারে নরনারায়ণের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে দেখলেন যে মহিষীর হাত রাজার কাঁধের ওপরে রয়েছে। এমন অবস্থায় রাজার মুন্ড ছেদনের সাহস না করে রেগে ঘর থেকে বেড়িয়ে যান। ভগবতীর ইচ্ছেতে সবকিছু হয়। প্রথমবার ব্যর্থ হলেও শুক্লধ্বজ পুনরায় একদিন মহারাজ অমাত্যবর্গের সঙ্গে সভা করছেন শুনে ভাইয়ের শিরচ্ছেদ করার মানসে খড়গ হাতে সভা মাঝে প্রবেশ করে সিংহাসনের দিকে এগিয়ে যান এবং দেখতে পান যে স্বয়ং ভগবতী দশভূজা রূপে 'চাক বালিশে' বসে নরনারায়ণকে ক্রোড়ে ধারণ পূর্ব্বক দশহাত দিয়ে তার দেহ আবৃত করে রেখেছেন। এহেন অদৃষ্ট পূর্ব্ব দৃশ্য কেবলমাত্র শুক্লধ্বজ দেখেন ও কান্নার সুরে বলতে থাকেন- আমি দুর্ভাগ্যযুক্ত, যাকে জগত জননী রক্ষা করেন তাকে কে হত্যা করতে পারেন এতো সাহস কার আছেন ! তবুও আমি নির্বুদ্ধিতায় শুধুমাত্র দ্বেষ ও লোভের বশে নিকৃষ্টতম অপরাধ করেছি যা আমার উচিত হয়নি। মহারাজ আমাকে ক্ষমা করুন। মহারাজ তার ভাইকে নানা প্রবোধ বাক্যে শান্ত করার চেষ্টা করতে লাগলেন, শুক্লধ্বজ দুঃখে অভিভূত হয়ে বলতে লাগলেন- "আমি অতিশয় অপরাধী-দুর্মতি, প্রথমতঃ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, দ্বিতীয়তঃ মহারাজা, তৃতীয়তঃ যাকে স্বয়ং ভগবতী ক্রোড়ে করে রক্ষা করেন আর আমি তাকে হত্যার বাসনা করেছি, আমার কি উপায় হবে এখন!" এই কথা শুনে সকলে চমৎকৃত হলেন। মহারাজ নরনারায়ণের চক্ষু থেকে অবিরল ধারা বইতে লাগলো, চোখের জলে বুক ভিজে গেলে তিনি ভাইকে সম্বোধন করে বলতে লাগলেন- "তুমি রাজ্যাভিলাষী হয়েছ, তুমি বৃহৎ রাজ্য ভোগ করবে, আমি তোমাকে বৃহৎ রাজ্য প্রদান করবো। তুমি বড়ো ভাগ্যবান, ভগবতী মাতাকে চাক্ষুষ দর্শন করেছো, আমি অতিশয় কুকর্ম্মকারি, নতুবা আমি তার ক্রোড়ে বসেও তার দর্শন বা তার উপস্থিতি অনুভব করতে পারলাম না। যার কঠোর সাধনা, পূজো-পাঠ, যাগ-যোগ দ্বারা সাধক, যোগী, মহাত্মা দর্শন পান না, তিনি তোমার চক্ষুগোচর হলো। অতএব তোমার চাইতে ভাগ্যবান অন্য কেউ নয়।

মহারাজ এ প্রকার অনেক আক্ষেপ করে নিভৃত স্থানে তিনদিন অনাহারে ছিলেন, রাত্রে স্বপ্নযোগে ভগবতী আবির্ভূতা হয়ে বলেন- ওঠো বৎসঃ, জগৎ সংসার আমার যে মহিষাসুরমর্দ্দিনীরূপ পূজা করে তা তুমি প্রত্যক্ষ করো। শরৎকালে তুমি এই মূর্তি নির্ম্মাণ করে যথাবিধি পূজা করবে। রাজা চক্ষুরুন্মীলন করে ভগবতীর সেই রূপ দর্শন করে পুনঃ পুনঃ প্রনাম ও স্তব-স্তুতি করতে লাগলেন। পরে সবিনয় ভগবতীর নিকট দুটি নিবেদন করলেন- প্রথম নিবেদন করলেন জগৎ মাতা তোমার যে মহিষাসুরমর্দ্দিনী রূপ আছে তাতে মহিষাসুরের দক্ষিণ হস্তে সিংহ দন্তাঘাত করে আছেন কিন্তু তার বাম হস্ত শূন্য রয়েছেন। ভগবতী তখন মৃদু হেসে বললেন ঐ স্থানে তবে একটি ব্যাঘ্র দিও। দ্বিতীয় নিবেদন করলেন ভগবতীর অতসী কুসুমাকার গাত্র বর্ণ দেখে বললেন জগৎ জননী আপনার গাত্র বর্ণ রক্ত বর্ণ হলে ভালো হয় তখন দেবী তাতেও সন্তুষ্টি বিধান করলেন।

এমনভাবে মহারাজা নরনারায়ণ দ্বারা শরৎকালে দেবীর পূজা আরম্ভ হয়।

গন্ধর্ব্বনারায়ণের বংশাবলী, ৪৩-৪৪ পত্র থেকে এই প্রতিমার বর্ণনা, গঠন বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছেন এরূপ

দশখান বাহু বক্রু হয় একখান। তিন গোটা চক্ষু আতি দেখিতে সুঠান।।

যুবতীর বেশ শোভে অলঙ্কারগণ। সিংহের উপরত আছে দক্ষিণ চরণ।।

মহিষ পৃষ্ঠত বাম চরণ থাপিলা। মহিষর কাটা গলে পুরুষ জন্মিলা।।

দৃঢ় মুষ্ঠি পুরুষর কেশত ধরিলা। দক্ষ হস্তে হৃদয়ত ত্রিশূল ভেদিলা।।

বামহস্তে অসুরর ব্যাঘ্রে কামোরিলা। দন্তে নিকোটায়া দুষ্টে প্রাণক ছাড়িলা।।

চক্ষু ঢেল করি দুষ্টে রুধিরে ছাদিলা। দশখান অস্ত্র দশ হস্তত ধরিলা।।

শূল খড়গ শর শক্তি চক্র দক্ষিণত। বামহস্ত সব যে ধরিছে হেন মত।।

পাশ যে খেটুক ধনু পরশু অঙ্কুশ। দেখি হরপুত্র পাইল পরম সন্তোষ।।

(সূত্রঃ কোচবিহার ইতিহাস, পৃষ্ঠা-৮৬, আমানতউল্লা আহমেদ।)

ভগবতীর আজ্ঞানুসারে মহারাজ শ্রাবণ মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে রাজার হাতে 'ন' মুট পরিমাণ মদন বা ময়না কাঠের শাখা "শক্তিদণ্ড" কর্তন করে যত্ন পূর্ব্বক ঘরে আনলেন। এই অনুষ্ঠানকে "যুপচ্ছেদ" বলে। প্রতি অষ্টমীতে কনকোৎসব ও ধর্ম্মগ্রন্থাদি পাঠের ব্যবস্থা আছে। ভাদ্রের শুক্লাষ্টমী যোগে শক্তিদণ্ড পাটস্থিত করায় তাকে "ধর্ম্মপাঠ" বলে।আশ্বিনী শুক্লা দ্বিতীয়াতে শক্তি নির্ম্মিত ভগবতী দর্শন তথা সওগাত প্রদানকে "দেওদেখা" বলে। ঈশ্বরীয় ঘরের পূর্ব কিছু উত্তর বস্ত্রাচ্ছাদিত স্তম্ভ তা নৃপতির কর্ণ প্রমাণ কান সেবাইত বর্তমানে তা কাম সেবাইত নামে পরিচিত। মহারাজা নরনারায়ণ প্রতিবছর মৃৎশিল্পীর দ্বারা মূর্তি নির্ম্মাণ করতঃ লক্ষাহুতি হোম পূজা আরম্ভ করলেন। এমনিভাবে স্বপ্নদর্শন রূপে প্রাপ্ত ভগবতীর শারদীয়া পূজা আরম্ভ হন। এই পুরো পূজা পদ্ধতি পুথিখানি 'দেবানন্দ' কর্তৃক লিখিত আছেন।

দেবীর রং টকটকে লাল। সেই প্রাচীন পদ্ধতিকে অবলম্বন করেই দেবীর রূপসজ্জার ব্যবস্থা হয়ে থাকে। দেবীর দুপাশে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী নেই। এদের পরিবর্তে রয়েছেন দেবীর সখীদ্বয় জয়া বিজয়া। পূর্বে কাঠের পাটাতনের উপর ও বর্তমানে দেবী বাড়ির পাকা মন্দিরে (১৯১৫-১৬আর্থিক বর্ষে নির্ম্মিত) পূজা হয়ে থাকেন। এই উপলক্ষে দেবী বাড়িতে একটি মেলাও বসে। অষ্টমীর দিন মোষবলি একটি আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান, এই প্রথা অন্যান্য বলির চাইতে কষ্টকর। এই মহাপূজায় "গুপ্ত পূজা" এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, পূর্বে নরবলির কথা শোনা গেলেও বর্তমানে তার অনুকরণে এক বিশেষ পরিবারের ব্যাক্তির দ্বারা রক্তদান করে তা বিশেষ পূজো ও পদ্ধতির দ্বারা দেবীকে উৎসর্গ করা হয়ে থাকেন। এছাড়াও নিশাপূজা, সন্ধি পূজা, চালিয়াবাড়িয়া পূজা ও দণ্ডপূজা প্রভৃতি এই পূজার অভিন্ন অংশ।

 বিজয়া দশমীর দিন রাজপ্রাসাদে পূর্ব্বে 'আড়ম্বর' অনুষ্ঠান হত। সেই অনুষ্ঠানে একটি খঞ্জন পাখি উড়িয়ে দেওয়া হত। যেদিকে সে পাখি উড়ে যাবে সেই দিকটি বিজয় পথ হবে বলে কল্পনা করা হত এছাড়াও তার ডানা ও দীর্ঘ লেজের ওড়ান দেখে রাজ্যের ভবিষ্যৎ গণনা হতেন যা এখন অতীত পরবর্তীতে সে প্রথা মহারাজ জগদ্দীপেন্দ্রনারায়ণের সময়কাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া বড়োদেবী মন্দিরের পেছনে একটি ঘর রয়েছে যা সিংহাসন ঘর নামে পরিচিত পূর্বে এই ঘরে রাজমহল থেকে মহারাজের সিংহাসন এনে রাখা হত ও সর্ব্বসাধারণের দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হতো। দশমী স্মরণীয় করার জন্য মাহীশূরের দশেরার মতো রাজকীয় শোভাযাত্রা চলতো। রাজামলে নিরঞ্জনের দিন মদনমোহন বাড়ী থেকে প্রতিমা আসতো দেবীবাড়ীতে তৎসহ হাতির পীঠে আসতো লক্ষ্মীনারায়ণের বিগ্ৰহ। শুরুতে থাকত সুসজ্জিত পাটহাতি এরপর অন্যান্য হাতির দল। রাজকীয় পোশাকে ব্যান্ডের বিরাট দল, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও নারায়ণী গার্ড। শোভাযাত্রায় রাজপ্রতীক বহন করা হত। সেই শোভাযাত্রা বড়োদেবী বিগ্ৰহ সহ সাগরদিঘীর তিনদিক পরিক্রমা করে শোভাযাত্রা দক্ষিণে কেশব আশ্রম হয়ে পৌছৈ যেতো তোর্সা নদীর তীরে। সেখানেই দেবী বিসর্জন হত। দশমীর দিন ঘাটে বিসর্জনের পূ্র্বে ঘাটে বিশেষ পূজা হয়, এরূপ নিয়মবিধি আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহজনক।

আজ আর রাজা নেই, রাজত্বও নেই সেকালের রাজ্য আজ পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই পূজার আড়ম্বর অনেক কমে এসেছে। এখন সরকারী অনুদানের ওপর নির্ভর করে সেদিনের রাজসূয় যজ্ঞ এখনও গুরুত্ব সহকারে পালন করা হচ্ছেন। আজকের দিনে কোচবিহারবাসীর মনের সঙ্গে এই দেবী দুর্গাও স্মরনীয় হয়ে আছেন বড়ো দেবী রূপে।

তথ্য সূত্র:-

১) কোচবিহারের ইতিহাস-খাঁ চৌধুরী আমানতউল্লা আহমেদ।

২) রাজোপাখ্যান-মুন্সী জয়নাথ ঘোষ।

৩) স্বর্গীয় অমিয় কুমার দেববক্সী (দুয়ারবক্সী)

৪) ঐতিহাসিক ডঃ নৃপেন্দ্রনাথ পাল।

৫) সাংবাদিক দেবব্রত চাকী।

৬) বিবিধ পত্র-পত্রিকা।


(ছবি- সৌজন্যে লেখক)

0 comments:

Post a Comment