Oct 25, 2018

শেষ চিঠি

Edit Posted by with No comments


শেষ চিঠি
আদিত্য সাহা

আমার প্রিয় ক্যাথেরিন,
                                     এই বছরই আমাদের হয়তো শেষ খ্রিষ্টমাস আর কোনোদিন হয়তো তোমদের সাথে আর নতুন বছর উদযাপন করতে পারবো না খুব কষ্ঠের সাথে এই চিঠি লিখছি মলি আর বেন কে ভালো স্কুল পড়িও, আমার খুব ইচ্ছা ছিল মলি কে গ্র্যাজুয়েট হতে দেখার, খুব ইচ্ছা ছিল বেন এর বেসবল ফাইনাল ম্যাচটা তোমার সাথে দেখার মা কে একটু দেখে রেখো বয়স হয়েছে তো তাই একটু বেশি আবেগপ্রবণ যদি আর্থিক পরিস্থিতি খুবখারাপ হয় তাহলে যে তোমার দেয়া রুপার ঘড়ি টা আছে না ? ওটা বিক্রি করে দিও ওহো বলতেই ভুলেগেছিলাম মার ইনহেলার টা কিনতে ভুলে গিয়েছিলাম , তুমি একটা নতুন কিনে দিও কোনো দিন খারাপ পাবে না এটুকুই মনে রাখবে আমি দেশের জন্য নিজের প্রাণ ত্যাগ করেছি দেশের পূর্ণ সুরক্ষার দায়িত্ব আমার মতো আরো অনেক মানুষ নিয়েছে আগামী ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমি এই কাজ করছি আহ , শেষ করছি , বেশি কথা বলবো না ; ভালো থেকো প্রিয় ক্যাথেরিন
                                              তোমার প্রিয় জেমস
এই চিঠিটা একটু ভালো করে খামে ভরে আমার বাড়িতে দিয়ে এসো মিলিটারি পোস্টমান বলল " ঠিক আছে , যাও জোয়ান , ইশ্বর তোমার মঙ্গল করুক " " জেমস জেমস ! কোথায় তুমি ? চলো তাড়াতাড়ি ! দেরি হয়ে যাচ্ছে অনেক " বললেন জেনারেল উইলিয়ামস ; "এইতো এসে পড়েছি " বললাম
অবশেষে ঘন্টার নৌকা যাত্রার পর আমরা পৌছালাম খুব সতর্ক ভাবে চলার পর দূর থেকে দেখছি নাৎসি সৈন্য দল আসছে , ক্যাপ্টেন বললেন " গুলি চালাও ! " আমরা গুলি করছি অনেকে মারা গেছে কিন্তু তাদের সামরিক শক্তি অনেক শক্ত আমরা পেরে উঠছিলাম না, শেষে সবাই এক এক করে মারা পড়ছিলো , সে সময় আমি দুটো গ্রেনেড নিয়ে তাদের দিকে ছুটলাম ; দুটো গুলি আমার পাঁজর ফুটো করে বেরিয়ে গেল , তাও কষ্ট করে তাদের দিক উদেশ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে দিলাম তাদের অনেকে সৈন্য মারা গেল , দেখলাম তাদের বাকিরা পালিয়ে যাচ্ছে খুশি হলাম , কিন্তু আমার শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে কেন ? ওহ হ্যাঁ এখনই তো সময় ! একটু হেসে মনে মনে বললাম ঈশ্বর আমার মাতৃভূমির মঙ্গল করুক, আমার লোকজনের উপর মঙ্গল করুক , আমার পরিবারের পর ....  ১৪/0/১৯৪৩ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক উদাহরণ



0 comments:

Post a Comment