শেষ চিঠি
আদিত্য সাহা
আমার প্রিয় ক্যাথেরিন,
এই বছরই
আমাদের হয়তো
শেষ খ্রিষ্টমাস
আর কোনোদিন
হয়তো তোমদের
সাথে আর
নতুন বছর
উদযাপন করতে
পারবো না
। খুব কষ্ঠের
সাথে এই
চিঠি লিখছি
। মলি আর
বেন কে
ভালো স্কুল
এ পড়িও,
আমার খুব
ইচ্ছা ছিল
মলি কে গ্র্যাজুয়েট হতে দেখার,
খুব ইচ্ছা
ছিল বেন
এর বেসবল
ফাইনাল ম্যাচটা
তোমার সাথে
দেখার ।
মা কে
একটু দেখে
রেখো বয়স
হয়েছে তো
তাই একটু
বেশি আবেগপ্রবণ
। যদি আর্থিক
পরিস্থিতি খুবখারাপ হয় তাহলে ঐ
যে তোমার
দেয়া রুপার
ঘড়ি টা
আছে না
? ওটা বিক্রি
করে দিও
। ওহো বলতেই
ভুলেগেছিলাম মার ইনহেলার টা কিনতে
ভুলে গিয়েছিলাম
, তুমি একটা
নতুন কিনে
দিও ।
কোনো দিন
খারাপ পাবে
না এটুকুই
মনে রাখবে
আমি দেশের
জন্য নিজের
প্রাণ ত্যাগ
করেছি ।
দেশের পূর্ণ
সুরক্ষার দায়িত্ব
আমার মতো
আরো অনেক
মানুষ নিয়েছে
। আগামী ভবিষ্যতের
কথা ভেবেই
আমি এই
কাজ করছি
। আহ , শেষ
করছি , বেশি
কথা বলবো
না ; ভালো
থেকো প্রিয়
ক্যাথেরিন ।
তোমার প্রিয়
জেমস
এই চিঠিটা একটু
ভালো করে
খামে ভরে
আমার বাড়িতে
দিয়ে এসো
। মিলিটারি পোস্টমান
বলল " ঠিক আছে , যাও জোয়ান
, ইশ্বর তোমার
মঙ্গল করুক
"। " জেমস জেমস
! কোথায় তুমি
? চলো তাড়াতাড়ি
! দেরি হয়ে
যাচ্ছে অনেক
" বললেন জেনারেল উইলিয়ামস ;
"এইতো এসে পড়েছি " বললাম ।
অবশেষে ৫ ঘন্টার
নৌকা যাত্রার
পর আমরা
পৌছালাম।
খুব সতর্ক
ভাবে চলার
পর দূর
থেকে দেখছি
নাৎসি সৈন্য
দল আসছে
, ক্যাপ্টেন বললেন " গুলি চালাও ! " আমরা
গুলি করছি
অনেকে মারা
গেছে কিন্তু
তাদের সামরিক
শক্তি অনেক
শক্ত ।
আমরা পেরে
উঠছিলাম না,
শেষে সবাই
এক এক
করে মারা
পড়ছিলো , সে
সময় আমি
দুটো গ্রেনেড
নিয়ে তাদের
দিকে ছুটলাম
; দুটো গুলি
আমার পাঁজর
ফুটো করে
বেরিয়ে গেল
, তাও কষ্ট
করে তাদের
দিক উদেশ্য
করে গ্রেনেড
ছুড়ে দিলাম। তাদের অনেকে সৈন্য মারা
গেল , দেখলাম
তাদের বাকিরা
পালিয়ে যাচ্ছে
। খুশি হলাম
, কিন্তু আমার
শ্বাস নিতে
খুব কষ্ট
হচ্ছে কেন
? ওহ হ্যাঁ
এখনই তো
সময় ! একটু
হেসে মনে
মনে বললাম
ঈশ্বর আমার
মাতৃভূমির মঙ্গল করুক, আমার লোকজনের
উপর মঙ্গল
করুক , আমার
পরিবারের ওপর .... ১৪/0১/১৯৪৩ দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের এক উদাহরণ।
0 comments:
Post a Comment