লেখকের চোখে নেট ফড়িং
লিখেছেন- সৌমিত সরকার
একটা সময় ছিল যখন এত ছুটোছুটি ছিল না। সারাদিনে কিছুক্ষণ সময় পাওয়াই যেত
গল্পের বই নিয়ে বসার। এখনকার মতো নয়। এখন তো নিঃশ্বাস নেবার সময়ও হয় না, বসে বই পড়া
তো দূরের কথা।
এখনকার বাচ্চারাও বই পড়ে, তবে তা ছাপার অক্ষরে নয়, ই-বুক হিসাবে, মোবাইলে।
এদের বইয়ের নেশা নেই বা পড়ার নেশা নেই এরকম ভাবা কিন্তু ভুল। এরা আমাদের
থেকে অনেক বেশি পড়ে। ইন্টারনেটের দৌলতে এখন সারা পৃথিবীর সাহিত্য এদের হাতের মুঠোয়।
কিন্তু ভেবে দেখুন, জীবনে সব ক্ষেত্রেই কি এটা সত্যি নয়। নতুন আসে, পুরোনো
সরে দাঁড়ায় তাকে জায়গা করে দেবার জন্য, তবেই তো জীবন এগিয়ে চলে। আমরা নিজেরাও, একসময়
জীবন নিজেদের শর্তে বাঁচি, তারপর কোন এক সময় জীবনের হাল অন্য কারুর হাতে তুলে দিই,
আর তারপর একদিন স্রোতের মুখে ভাসতে ভাসতে চলে যাই অজানার উদ্দেশ্যে। আমরা সরে যাই,
তাই অন্য কেউ এগিয়ে আসতে পারে, সুযোগ পায় নিজের জীবন নিজের শর্তে বাঁচার চেষ্টা করার।
তাই তো একদিন পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা পাবার জন্যে লোকে কলকাতায় থাকা বন্ধুকে
বলতো কিনে পাঠাতে, আর আজ সেই বন্ধুকেই বলে যে প্রয়োজনে অনলাইনে অর্ডার করে নিজেই তার
কাছে পাঠিয়ে দেবে – দু’জনের মধ্যে যে যেখানেই থাকুক না কেন।
এ কথা অবশ্যই সত্যি যে দিন বদলেছে, সময় পাল্টেছে। লোকের হাতে এখন বসে বই
পড়ার মত সময় নেই, তাই আজ ই-বুকের রমরমা।
আমাদের উত্তরবঙ্গে কোচবিহারের মতো প্রত্যন্ত জেলাতে কয়েকজন সাহিত্যপ্রেমী
যুবক-যুবতী স্বপ্ন-উড়ানের স্পর্ধা দেখিয়ে নেটফড়িং এর মতন অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা
প্রতি সপ্তাহে প্রকাশ করে চলেছে। এই পত্রিকার প্রতিটি লেখকের লেখনী পাঠক মহলে ভিন্ন
স্বাদের আস্বাদন দেবেই। নেটফড়িং এমন একটি অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা যেখানে অণুগল্প,
ধারাবাহিক গল্প, নানা স্বাদের কবিতা ও বিভিন্ন বইয়ের সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পাঠকের কাছে
পৌঁছে যাচ্ছে, রয়েছে বিভিন্ন শিল্পীদের তোলা আলোক-চিত্র। তরুণদের স্পর্ধা দেখানোর সাহস
জোগায় এই সাহিত্য পত্রিকা। আমি এক তরুণ লেখক, লেখালেখির চেষ্টা করছি আর কী? আজ আমার
লেখা নেটফড়িং এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিভার সঠিক বিচ্ছুরণ ঘটাতে
আমার মতো হাজারো তরুণ-কে পথ দেখাচ্ছে নেটফড়িং সাহিত্য পত্রিকা। আমার বিশ্বাস এভাবেই
অনেকটা পথ পাড়ি দেবে নেটফড়িং। আমি নেটফড়িং এর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান
বলে মনে করছি। আশা রাখছি আগামীদিনেও ঠিক একইভাবে পাঠক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করবে নেটফড়িং।
এভাবেই এগিয়ে যাক নেট ফড়িং।
বন্ধু আপনার লেখা পড়ে অসম্ভব ভালো লাগলো। যথার্থ ভাবে সমগ্র বিষয়টি তুলে ধরেছেন আপনি।"নেট ফড়িং"প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত ভাবে একটা অসম্ভব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। প্রশংসা করার ভাষা আমার নেই। সুন্দর একটা লেখা পড়লাম।এর জন্য অজস্র ভালোবাসা। অভিনন্দন। শুভ কামনা। পাশাপাশি অনলাইন পত্রিকার টিমকে আমার হার্দিক অভিনন্দন। এবং কুর্নিশ।
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ
Delete