সুখের সাগরে ভাসে মনুষ্যত্বহীনতা
শাহীন ইমতিয়াজ
মরণের
সাধ পেতে বড়ো সাধ জাগে,
সে কি
খুবই ভয়ানক!
নাকি সবই
কল্পনা!
এত মতবিরোধ,
এত জল্পনা-কল্পনা
সব কিছুর
অবসান বুঝি সাধনায়।
সঠিক সব
অদৃশ্য
বিশ্বাস
সব বিশ্বস্ত,
কঠিন সব
তর্ক-যুক্তি
একাকীত্বেই
মুক্তি ৷
অদৃশ্য
সব মোহ
কেমনে
তারে বাঁধি ?
এত সব
প্রণয় যন্ত্রণা
ছলনায়-হাসিতে, সুখ-সাথী ৷
কে বলে
মর্ত্যে সুখ নাই?
সুখ সব
পকেটে আর ধর্মে৷
সুখের
সাধ সাধ্য কার সাধিবার ?
ধর্ম সব
অন্ধ
ধর্ম সব
বাকরুদ্ধ,
পাড়ার
মেয়েটার যখন
অনাচার৷
সুখের
সাগরে ভাসে মনুষ্যত্বহীনতা।।
বসন্ত
বিক্রম শীল
প্রথম বসন্তে হঠাৎ দেখা
দ্বিতীয় বসন্তে চাওয়া;
তৃতীয় বসন্তে ভালোবাসা লেখা,
শুভ পরিণয়ে এক হওয়া।
প্রতি বসন্তে বাঁচতে শেখা
সুখ-সাগরে ভেসে যাওয়া-
শেষ বসন্তে হাত মিলিয়ে
অমৃতলোকে যাওয়া।
সংগ্রাম
প্রসেনজিৎ রায়
স্বাধীনতা পেয়েছি তবু করবো সংগ্রাম
ভুগোলের মানচিত্রে,
যে সংগ্রামের কথা লেখা হয়েছিল
এ বাংলার নাম।
সেই দিনের সংগ্রাম
মানুষের কাছে যা কিছু ছিল;
তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল
এই মানুষগণ।
নিজের জীবনকে বাজি রেখে
শএুর সাথে লড়েছিল।
এখানকার নারীগন
নিজের সিঁদুরকে বিসর্জন দিয়েছিল মহা কষ্টে-দুঃখে।
এ সংগ্রাম
বাংলার মানুষের প্রাণ ।
এ ইতিহাস
আমাদের মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস।
এ মানুষগণ
শহিদ মানুষের মনের অভিলাষ;
দেশ প্রেমিকেরা এই সোনার বাংলাকে
সংগ্রাম মুক্ত করবে।
এ সংগ্রাম আমাদের
সুষ্টু ভাবে বেঁচে থাকার সংগ্রাম ।
সময় বদলের সময়
ছবি ধর
বদলে যাচ্ছে চাওয়া পাওয়া
বদলাচ্ছে সময় ,
পাশবিক
লালসার লোলুপ
শিখায়
ঝলসাচ্ছে
নারীর
নারীত্ব
সময়ের
অজুহাতে খাবি খাচ্ছে ব্যক্তিত্ব ,
মানবিকতা আজ যেন পঙ্গু l
সহিষ্ণুতা
তলানিতে ঠেকেছে প্রায় ,
বিশ্বাস ,ভরসার দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে ,
অহং লালিত
হচ্ছে সম্ভ্রমে
সময় বদলাচ্ছে
এ সময় ......!!
চাঁদের আলো
কাজী সামসুল আলম
চাঁদের
আঙিনায় জোৎস্নার আনাগোনা
তারারা
লজ্জায় মুখ ঢাকে আসমানে
শিশির
ভেজা দুর্বার দল চেয়ে থাকে
উদিত সূর্যের
পানে
শুকতারা
আজ রাঙা পিসিমার মতো
গালে পান
দিয়ে পাড়াময় ঘোরে
বজ্র বিদ্যুত্
অকারণে আরো
দড়াম দড়াম
শব্দ করে মরে
দখিনা
বাতাস মনে মনে ভাবে
পাছে লোকে
কিছু কয়
এই ভয়েই
সব কিছু দেখে
একেবারে
নীরব সে রয়
সূর্যমুখী
জবা নিজের অজান্তে
সূর্যের
পানে ঘুরে যায়
নিকষ আঁধারে
অমাবস্যার কালো
জোৎস্নার
আলো পেতে চায়।
বেরঙীন ইচ্ছেরা
দেবদর্শন চন্দ
জানিস
পিকু,
ভালোলাগাটা,আমার ঠিক আসেনা।
তাই বেশীই
ভালোবাসি তোকে।
জানিস
পিকু,
মিথ্যেটা
বড্ড বদহজমের,
তাই হয়তো
আসেনা।
বলতে নিয়েও
আটকায়,
তাই হয়তো
বলিনা।
মিথ্যে
আশায় রাজা আজো প্রহর গোনে,
ওর কথায়
জেনেছিলাম,
কেউ নাকি
ওকে বলেছিলো,
'বড্ড ভালোবাসি তোমায়'।
পরবাস
শুভ কর্মকার
আমি তোর
বন্ধু হব।
একটু আপন
করিস আমায়,
থাকতে
দিস তোর মনের মাঝে;
কথা দিচ্ছি
একলা পথে
আমিই তোর
সাথী হব।
তোর ব্যাথার
উপশম হয়ে
শান্তি
দেব স্নিগ্ধ রাতে,
একলা যখন
ভাববি নিজেকে
আমিই থাকব
তোর সাথে
হাজারো
সুখের স্মৃতি হয়ে।
নির্জন
পথে চাইবি যখন
নতুন আশার
সন্ধানে,
আসব আমি
আবার ফিরে
বাঁধবো
তোকে আমার প্রাণের
আপন হবার
বন্ধনে।
সেদিন
কি তুই মানবি আমায়
তোর বন্ধু
বলে?
হয়ত তখন
আমি হব
ছন্নছাড়া
কোন এক
বখাটে
ফাজিল ছেলে!
হয়তো আমায়
প্রশ্ন করবি-
জানিস
বন্ধুত্ব কাকে বলে?
আমারতো
সেই একই উত্তর-
হুঁ জানি, ভিন্ন দুটি জীবন
যে পথে
একই সাথে চলে।
একটা বাঁকা
হাসি তখন ভাসছে
তোর ঠোঁটের
কোণে,
বললি হঠাৎ-ব্যস এতটুকুই?
অবশ্য
তুই বাচ্চাছেলে
এর বেশি
কিছু বুঝবিনে।
বন্ধু
বানালি আমায় সেদিন
অনেক আপন, তোর খুব কাছের-
কতকিছু
যেন পেলাম আমি,
আমার চাওয়া
এক চলার সাথী
স্বপ্ন
আর বাস্তবের।
অনেক কাছে
রাখতে চেয়েছি তোকে,
থাকতে
চেয়েছি তোরও কাছে-
বেঁধে
রেখেছি নিজেকে কখনো
যদি ভুল
হয়ে যায় পাছে।
কখনো কথা
রাখতে পারিনি,
আবার হয়তো
কষ্টও দিয়েছি বহু
নিজেরই
অজান্তে-
অশ্রুধারা
যখন বাঁধ ভেঙেছে তোর
কাটিয়েছি
অসংখ্য মুহূর্ত একলা একান্তে।
ফিরে এসেছি
আবার তোর কাছে
একটু হাসি
ফিরে পেতে,
হাত বাড়িয়ে
জড়িয়েছিস বুকে আমায়;
প্রতিশ্রুতি
দিয়েছি তোকে আবার
বন্ধুত্বের
মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে।
কখনো মেনে
নিয়েছিস আমায়,
আবার কখনো
তোর মনে
বাসা বেঁধেছে
হাজারো সংশয়-
বুঝতে
পারিসনি তোর কাছে থাকা
আমার সত্যিকারের
বন্ধুত্ব নাকি অভিনয়।
জানিনা
কীকরে দিতে হয়
বন্ধুত্বের
বাস্তবতার প্রমাণ,
জানিনা
কতটা পেতে হয়
অজানা
ভুলের প্রতিদান;
একলা সময়
ক্লান্ত মন নিঃসঙ্গতার মাঝে
শান্ত
হতে তবুও তোকেই চায়।
পুরোনো
সবকিছু ভুলে
তাই বারবার
তোর কাছেই ফিরে আসি,
বন্ধুহীন
এই মন তো ভাঙা খাঁচা কেবল-
একটু খুশির
সন্ধানে তাই আজও
আমি তোর
মনের ঘরেই পরবাসী।
0 comments:
Post a Comment