Nov 26, 2018

নেটফড়িং সংখ্যা ৬৪

Edit Posted by with No comments

Nov 18, 2018

নেটফড়িং সংখ্যা ৬৩

Edit Posted by with No comments

Nov 14, 2018

নেটফড়িং শিশু-কিশোর সংখ্যা ২০১৮

Edit Posted by with 1 comment

Nov 11, 2018

নেট ফড়িং সংখ্যা ৬২

Edit Posted by with No comments

Nov 8, 2018

একদিন আমার সাথে

Edit Posted by with No comments


একদিন আমার সাথে
মেঘাংশ

একদিন আমার সাথে
নিশ্বাসটাও বেইমানি করবে,
হৃস্পন্দন যাবে থমকে...
লোকে তখন মৃত বলবে,
লাশ দেখে বাড়ির মানুষেরা যাবে চমকে...

পড়নের কাপড় খুলে নেবে,
ফুল সাজাবে মৃত সজ্জায়...
চারি পাশে টুং টাং শব্দ হবে,
দুই চারটে খুচরো পয়সায়...

ফুলের মালা, শরীরে চন্দন ,
চারিদিকে বাহারি ধূপের গন্ধ...
মুখ দিয়ে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে যাবে,
চোখ দুটো আলতো করে বন্ধ...

দুই চার জন কাঁদবে হয়তো,
কেও কেও মেকি হাঁসিতে নেবে ঘ্রাণ...
প্রিয়তমা বুকের উপর আছরে পড়বে,
ছিন্ন হবে সাত জন্মের টান...

অনেকের কাছে খারাপ থেকে ভালো হবো,
প্রশংসার বন্যায় ভাসাবে আমায়...
হঠাৎ তখনি কেউ বলবে,
কিরে তাড়াতাড়ি কর ?
বেলা যে বয়ে যায়...

চার কাঁধেতে চড়ব সেদিন,
মুক্তি পাবে সকল কষ্ট...
কাঠের উপর কাঠ সাজাবে,
শুধু পরে থাকবে ছাই ভষ্ম...

নাভিকুণ্ড ভর্তি কলসি,
ডুবে যাবে নদীর বাঁকে...
সেদিন আমার সাথে,
অদ্ভুত এক জিনিস ঘটবে ,
আমায় মৃত বলবে লোকে...



Nov 5, 2018

নেট ফড়িং সংখ্যা ৬১

Edit Posted by with No comments

Nov 2, 2018

সেদিন অনেকটা দেরি হয়ে যাবে

Edit Posted by with No comments


সেদিন অনেকটা দেরি হয়ে যাবে
মেঘাংশ

সারাদিন তোর একটা ফোনের অপেক্ষাই
কেনো বসে থাকি ??
কেনো তোর মন খারাপ হলে ,
নানা কথার ভাঁজে তোকে আটকে রাখি ??
হইতো একদিন বুঝবি !!

বুঝবি ! কেনো তুই রাগ করলে ,
হাজারবার ক্ষমা চাওয়ার কারন...
তুই কাঁদলে পরে কেনোই বা বলি ,
মেঘেদের বৃষ্টি ছোঁয়া বারণ...

বুঝবি ! ইগো দূরে রেখে ,
কেনো তোকে বোঝার চেষ্টা...
তোর হাত ধরে কেনোই বা দেখতে চাই ,
দিগন্তে সূর্য ডোবার শেষটা...

সেদিন দিন দুপুরে ব্যাস্ততার মাঝেও ,
বার বার ফোনের দিকে নজর দিবি ...
হাজার ম্যাসেজের ভিড়ে ,
শুধু একটাই নাম খুঁজবি...

হইতো সেদিন ছাদের কোনে ,
ঘড়ির কাঁটা কে বন্ধ থাকতে বলবি...
মধ্যরাতে হঠাৎ করে ঘুম ভাঙলে ,
সপ্নের মাঝে আমায় খুঁজে চলবি...

খুশি তো অনেকটাই হবো ,
যেদিন তুই এগুলো বুঝবি...
কিন্তু সেদিন অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে ,
তারার দিকে চেয়ে ,
সেদিন আমায় খুঁজবি...


Nov 1, 2018

মাতৃরূপেণ সংস্হিতা

Edit Posted by with No comments


মাতৃরূপেণ সংস্থিতা
সায়নী ঘোষ

অন্যান্য বারের মতো এবারের শারদীয়ায় যে অপু নতুনভাবে সাজবে তা একেবারেই নয় এবারের দেবীপক্ষ একটু আলাদাই একটু অন্যরকম সজীবতায় ভরা কিন্তু এতোদিন মায়ের অপেক্ষায় যেন তার দিনগুলো ফ্যাকাশে হয়ে ছিল আগে ছোটবেলায় কত মজা হতো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মায়ের পুজো হতো আর মায়ের হাতের প্রসাদের সুগন্ধে মেতে উঠতো সারাটা দালানকোঠা সেই মায়ের সাথে আজ বাইশ বছর দেখা হয় না মায়ের আলতা পায়ের ছাপে কাশ শিউলির আঘ্রাণও পায়না অপু মা যে কবে আসবে তা ভেবেই একাকার সে তাই তার দেবীপক্ষের সূচনায় আমাদের দেবীপক্ষ নাও হাতছানি দিতে পারে
সেবার মায়ের সাথে যখন পুজোমন্ডপে বেড়াতে বেরিয়েছিল, এতো আলো আর মহিষাসুরটা দেখে বেজায় ভয় পেয়েছিল অপু কিছুটা ভয় পেয়ে কাঁচুমাচু হয়ে মায়ের আঁচলের ফাঁকা দিয়ে তাকাচ্ছিল সে মা বলছিল "ওরে বোকা ছেলে আমার! মা কে দেখে কেউ ভয় পায় বুঝি! বেড়িয়ে এসে দ্যাখ ওই মৃন্ময়ী মূর্তিতে কত শক্তিই না নিহিত আছে কিন্তু প্রতিবারের অষ্টমীর অঞ্জলি আর ধুনুচি নাচের মহড়াটা আজও মিস করে মা কি সুন্দর সবটা হাসিমুখে সামলে নিত কিন্তু কি এমন অপরাধ মাতৃরূপের জন্ম দেওয়া যার জন্য ঘরের লক্ষী কে তার ভাঁড়ার থেকে উৎখাত করা যায়? বড় আশ্চর্য লাগতো অপুর...
প্রশ্নটা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় অপুকে তার দুগ্গা কে জন্ম দিয়ে মা কি ভুল করেছিল যার জন্য আজ দেবীপক্ষেও মার আসার অনুমতি নেই তাঁর সন্তানের কাছে!!
কিন্তু অপু আজ বুঝতে শিখেছে, নিজের লড়াই নিজে লড়তে জেনেছে তাই আজ বাইশ বছর পর মা কে নিয়ে দেবীপক্ষের সূচনায় অপু আজ মুখুজ্জে বাড়ি তাকে কন্যারত্নের জন্মের দোষে দোষারোপ করবে না তাকে চিনবে মেজর দুর্গা মুখার্জির মা হিসেবে যাকে তিল তিল করে অপু শিখিয়েছিল মা হওয়ার দায়িত্ব, মা হওয়ার কর্তব্য, আর মেয়ে হওয়ার আসল উদ্দেশ্য!...
তাই আজ আবার অষ্টমীতে মায়ের হাতের ভোগ পেয়েছিল মাটির আর মানবতনু দুর্গা তার চোখের আনন্দাশ্রু তে ধুয়ে গেছিলো পুরোনো বাইশটা বছরের শঙ্কা আর শক্তিরূপেণ দুর্গার জয়ডঙ্কা ঢাকের মহড়ায় শুনিয়েছিল অপু তাকে "মাতৃরূপেণ সংস্থিতা" করতে