Jul 4, 2022

'বিড়ম্বনা' - রণীতা দে

Edit Posted by with No comments

 


বিড়ম্বনা

রণীতা দে

 

অরুপ ও রূপালী দুজনেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারওরা ব্লকে চাকরি করে। ওদের পরিচয় চাকরি করতে করতেই। দু’জনের বাড়ি থেকেই দুজনকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে, রূপালী দেখতে মন্দ নয়। দু’জনেরই দু’জনের প্রতি একটা ফিলিংস্ও আছে।

দু’জনে বাসেই যাতায়াত করে। অরুপ রোজ রূপালীর ভাড়া দেয়। রূপালী কোনো আপত্তি করে না। মাঝে মাঝে রূপালী বাড়ি থেকে টিফিন বানিয়ে আনে ওরা এক সাথে খায়। সিনিয়র দাদারা দেখলেই বলে এভাবে আর কতদিন চলবে এবার রূপালীকে বাড়িতে নিয়ে আয়। কেউ কোনো উত্তর দেয় না শুধু মুচকি হাসে।

রেটিনা অরুপ ও রূপালীর সহকর্মী। হঠাৎই একদিন রেটিনা রূপালীর বাড়িতে গিয়ে ওর বাবাকে বলল অরুপদা খুব বাজে ছেলে। এতদিন আমাকে নিয়ে খেলেছে এখন ওর লক্ষ্য রূপালী।

রূপালী বাড়িতে এলেই ওর বাবা বললেন তোমার দিদির কাকাতো দেওরের তোমাকে খুব পছন্দ। কাল ওরা তোমাকে দেখতে আসছেন। ছেলেটি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, আমার ছেলেটিকে মন্দ লাগে না, আমি চাই তুমি ওকেই বিয়ে কর।

তিন দিন পর রূপালী নিজের গাড়িতে অফিসে এল ওর ইস্তফা জমা দিতে। রূপালীকে দেখে অরুপ খুব খুশি। অরুপ রূপালীকে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলো তখনই রূপালী একটা খুচরো পয়সা ভর্তি ছোট্ট বটুয়া অরুপের হাতে দিয়ে বলল অরুপদা এ জন্মে আমার আর তোমার বাড়ির লক্ষ্মী হওয়া হল না। তোমার বাস ভাড়াগুলো ফেরত দিলামএটা কি শুধুই রেটিনার ষড়যন্ত্র নাকি ভাগ্যের বিড়ম্বনা।


0 comments:

Post a Comment