May 12, 2019

মাম্মাম

Edit Posted by with No comments


মাম্মাম
দীপজ্যোতি গাঙ্গুলী

ছোটবেলা থেকেই মাম্মামের সাথে হেমের সম্পর্কটা খুব যে মাখো মাখো বা আর পাঁচটা মেয়ের সাথে তার মায়ের সম্পর্ক ঠিক যেমনটা হয় তেমনটা নয়। খুব ছোট থাকতেই মা মারা যায় নিউমোনিয়ায়। তখনকার স্মৃতি এখন আর মনে নেই। কিন্তু সেইদিনটা মনে আছে। যখন বাবা মাম্মামকে নিয়ে এলো। না বাবা কিছু বলেনি, আজ অবধি বলেনি।  ঠাম্মি বলেছিল মাম্মাম ডাকতে। সেই থেকেই মাম্মাম। সেই থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় যাওয়া অবধি ওর দেখা শোনা যেই মানুষটি করেছিল সেই মাম্মাম। মাম্মাম-ও যে কোনোদিন মাতৃত্বের অধিকার দাবি করেছে তা না। কিন্তু হেমের প্রতি নিজের দায়িত্ব কখনো অস্বীকার করেনি।
টিং টং (কলিং বেলটা কে যেন বাজালো)।
পোস্টম্যান। একটা কুরিয়ার নিয়ে এসেছে।
ঘরে এসে কুরিয়ারটা খুলতেই দেখলো একটা বিদেশী ঘড়ি গিফট প্যাক করা আর তার সাথে একটা কার্ড। তাতে লেখা,
"হ্যাপি মাদার্স ডে মা। কোনোদিনও বলে উঠতে পারিনি আজ তুমি কাছে নেই তাই হয়তো আরো বেশি করে বলতে ইচ্ছে করছে। তুমি আমার সৎ মা হলেও তোমার মাতৃত্বের সততা অন্য মায়েদের তুলনায় অনেক বেশি। আই লাভ ইউ মা। তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মা।"
                                   ভালোবাসা নিয়ো,
                                        তোমার হেমনলিনী।

ছলছল চোখে ঘড়ির বাক্সটা খুলতে লাগলো মাম্মাম। হয়তো এটাই জীবনের সেরা প্রাপ্তি!


0 comments:

Post a Comment